সৈয়দপুর লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজের অস্বচ্ছল পরিবারের ২৩০ জন শিক্ষার্থী পেল খাদ্যসামগ্রী
https://www.obolokon24.com/2020/04/ssidpur.html
নীলফামারীর সৈয়দপুরে লক্ষণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্বচ্ছল পরিবারের ২৩০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে ওই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠান চত্বরে শারীরিক দূরত্ব মেনে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম রেজা। এ সময় শিক্ষার্থীর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে এর উদ্বোধন করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার আগেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্র্থীরা নির্ধারিত পোশাকে খাদ্য সামগ্রী নিতে আসে। এর আগেই কলেজ মাঠে দেয়া দূরত্ব চিহৃ বৃত্তাকারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়েকটি লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়। আর কলেজ মাঠে কয়েকটি টেবিলের ওপর রাখা হয় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট। এ সময় শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে সারির সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে মাঠের মধ্যে টেবিলের ওপর রাখা খাদ্য সামগ্রীর একটি করে প্যাকেট তুলে নেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের গবর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ ও অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিমসহ শিক্ষক-কর্মচারী তা তদারকি করেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য মো. হোসেন আহমেদ, নওশেদ আলী মন্ডল, দ্বীনবন্ধু রায়, মকবুল হোসেন, আব্দুল হালিম এবং সিনিয়র সহকারি শিক্ষক হামিদুর রহমান, খতিবর রহমান, স্বপন কুমার রায়, জিয়াউর রহমান, আরিফ হোসেন, সাইদুল ইসলাম, গোলাম সারওয়ার প্রিন্স, ফরহাদুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, বেগুন ও সাবান।
শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কথা হলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের অবস্থিত লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজটিতে এলাকার গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরাই অধ্যয়ন করে।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় গত প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে আমরা শিক্ষার্থীদের কোন খোঁজ-খবর নিতে পারছিলাম না। কিন্তু আমরা অনুধাবন করছিলাম যে চলমান করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থী কষ্টে আছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্নি বডির সকল সদস্য এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সবার আর্থিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছ পরিবারের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়।