সৈয়দপুরে হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্বচ্ছল পরিবারের ১৫০জন শিক্ষার্থী উপহার হিসেবে পেল খাদ্যসামগ্রী

তোফাজ্জল হোসেন  লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে সরকারি নির্দেশে। বর্তমানে  সকল শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে নিজ নিজ বাড়িতে। অথচ নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রত্যন্ত পল্লীতে গিয়ে অন্য রকম এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক দিয়ে একে একে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে। তারা সকলের গায়ে প্র্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোষাক। আবার এ সব শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের হাতে হাতে একটি করে প্যাকেট। ওই প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য সামগ্রী। আর গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ দৃশ্য দেখা যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে। 
 পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অস্বচ্ছল পরিবারের দেড় শত শিক্ষার্থীর মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের মাঠে শিক্ষার্থীর মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে উপহার  হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছিল। পরে কৌতুহলবশতঃ প্রতিষ্ঠান চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ মাঠে শিক্ষার্র্থীরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর  কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে মাঠে টেবিলের ওপর বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটের স্তুপ। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী তদারকি করছিলেন। কলেজ মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে সামনে দিকে এগিয়ে গিয়ে টেবিলের ওপর রাখা খাদ্য সামগ্রীর একটি করে প্যাকেট তুলে নিয়ে যাচ্ছি। 
 এ সময় কথা হলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরী জানান,তাঁর প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে  অবস্থিত। এখানে যারা পড়ালেখা করে তাদের বেশি ভাগই এলাকার গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের  ছেলেমেয়ে। স্বাভাবিক অবস্থায়ও তাদের মুখে তিন বেলা খাবার জুটে না। আর এখন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের অস্বাভারিক  পরিস্থিতিতে তাদের পরিবারের অবস্থা যে কি তা তো সহজে অনুমেয়। তিনি জানান, করোনার কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও আমি নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যমেআমার  শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর  নেয়। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করি। তারাও বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। পরবর্তীতে আমরা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মিলে প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছ পরিবারের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়। মূলতঃ এটি আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত উদ্যোগ। তিনি বলেন, এটি  তাদের জন্য কোন সাহায্য সহায়তা নয়। শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের উপহার এটি। আগামীতে প্রতিষ্ঠানের সকল অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।  
প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 397270738831327481

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item