ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,গাজীপুর থেকে আসা নীলফামারীতে ৯৩৩জন হোম কোয়ারেন্টাইনে,আতঙ্কে ২০ লাখ মানুষ
https://www.obolokon24.com/2020/04/nilphamari13.html
নীলফামারী প্রতিনিধি \ প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন নীলফামারী জেলা। জেলার ৬ উপজেলার প্রবেশ পথগুলিতে বসানো হয়েছে পুলিশের ১৪টি চেক পোস্ট। তারপরও থামা যাচ্ছেনা বহিরাগত প্রবেশ। গত এক সপ্তাহে নীলফামারী জেলায় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এলাকায় এসেছেন ৯৩৩ জন। তাদের সকলকে চিহিৃত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে জেলার ২০ লাখ সাধারণ মানুষ।
আইইডিসিআর’এর সূত্র মতে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলাকে ডেঞ্জারজোন হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। আজ রবিবার(১২ এপ্রিল/২০২০) পর্যন্ত ঢাকায় ৩৩৫জন, নারায়ণগঞ্জে ১০৭জন ও গাজীপুরে ২৩জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অসংখ্য মানুষ নীলফামারীর গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসছেন। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এক সাথে ১৪-১৫ জন মিলে মিনিবাস ভাড়া করে এলাকায় আসছে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্ট থাকায় প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে রাতের আধারে নিজ এলাকায় প্রবেশ করছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষনিক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাতের আধারে চোরের মতো এলাকায় কেনো প্রবেশ করছে তারা। সরকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছেন। সকলকে নিজ নিজ স্থানে অবস্থানও করতে বলছেন। তারপরও তারা নিজ এলাকায় ফিরে আসছে। এতে আতঙ্কে বসবাস করছে এলাকার সাধারণ মানুষজন।
আজ রবিবার(১২ এপ্রিল/২০২০) দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানান, গত ১ ডিসেম্বর থেকে জেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তি এসেছেন ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৩২৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন সর্ম্পূণ হয়েছে এবং তারা সকলের সুস্থ আছেন। বর্তমানে রয়েছেন ১৮ জন। গত এক সপ্তাহে তিনজনের শরীরের করোনা ভাইরাস চিহিৃত হওয়ায় তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ৯৩৩জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, এ পর্যন্ত ১০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনজনের করোনা রোগের পজেটিভ পাওয়া গেছে। পাশাপশি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ যে, গত ৭ এপ্রিল নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঢাকা থেকে আসা একজন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করা হয়। এরপর সেখানে অবস্থানরত ১৯ রোগীসহ চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও হাসপাতাল চত্বরের আবাসিক সদস্য সহ তাৎক্ষনিক ১৫০ জনকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে গত ৯ এপ্রিল নারায়ানগঞ্জ হতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস আক্রান্তে হয় এক শ্রমিক। ফলে সৈয়দপুরে ওই শ্রমিকের গ্রামের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। গত ১১ এপ্রিল ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের বাসিন্দা এক এসএসসি পাস ছাত্র বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়। ওই গ্রামের ১৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
সাথে সাথে ডিমলা,কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এলাকায় আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি তাদের পরিবারের সদস্য ও আশেপাশে বাড়ি সহ স্থানীয় ভাবে ৯৩৩জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পাশাপশি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। #
আইইডিসিআর’এর সূত্র মতে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলাকে ডেঞ্জারজোন হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। আজ রবিবার(১২ এপ্রিল/২০২০) পর্যন্ত ঢাকায় ৩৩৫জন, নারায়ণগঞ্জে ১০৭জন ও গাজীপুরে ২৩জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অসংখ্য মানুষ নীলফামারীর গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসছেন। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এক সাথে ১৪-১৫ জন মিলে মিনিবাস ভাড়া করে এলাকায় আসছে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্ট থাকায় প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে রাতের আধারে নিজ এলাকায় প্রবেশ করছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষনিক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাতের আধারে চোরের মতো এলাকায় কেনো প্রবেশ করছে তারা। সরকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছেন। সকলকে নিজ নিজ স্থানে অবস্থানও করতে বলছেন। তারপরও তারা নিজ এলাকায় ফিরে আসছে। এতে আতঙ্কে বসবাস করছে এলাকার সাধারণ মানুষজন।
আজ রবিবার(১২ এপ্রিল/২০২০) দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানান, গত ১ ডিসেম্বর থেকে জেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তি এসেছেন ৩৪৫ জন। এর মধ্যে ৩২৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন সর্ম্পূণ হয়েছে এবং তারা সকলের সুস্থ আছেন। বর্তমানে রয়েছেন ১৮ জন। গত এক সপ্তাহে তিনজনের শরীরের করোনা ভাইরাস চিহিৃত হওয়ায় তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ৯৩৩জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, এ পর্যন্ত ১০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনজনের করোনা রোগের পজেটিভ পাওয়া গেছে। পাশাপশি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ যে, গত ৭ এপ্রিল নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঢাকা থেকে আসা একজন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করা হয়। এরপর সেখানে অবস্থানরত ১৯ রোগীসহ চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও হাসপাতাল চত্বরের আবাসিক সদস্য সহ তাৎক্ষনিক ১৫০ জনকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে গত ৯ এপ্রিল নারায়ানগঞ্জ হতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস আক্রান্তে হয় এক শ্রমিক। ফলে সৈয়দপুরে ওই শ্রমিকের গ্রামের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। গত ১১ এপ্রিল ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের বাসিন্দা এক এসএসসি পাস ছাত্র বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়। ওই গ্রামের ১৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
সাথে সাথে ডিমলা,কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এলাকায় আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি তাদের পরিবারের সদস্য ও আশেপাশে বাড়ি সহ স্থানীয় ভাবে ৯৩৩জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পাশাপশি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। #