বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ,নীলফামারীতে পাড়া মহল্লা লকডাউন করছে বসবাসকারীরা
https://www.obolokon24.com/2020/04/lockdown_6.html
নীলফামারী প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন নীলফামারী জেলা। বন্ধ রয়েছে অফিস,আদালত ও প্রতিষ্ঠানগুলি। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে টহল জোরদার রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমান আদালত।
তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন এলাকা, হাট বাজারে। প্রশাসন দেখলেই দাড়িয়ে পড়ছে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানের সামনে।
অসচেতন মানুষের এই কার্জক্রম রুখতে সেচ্ছায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার প্রবেশ মুখ গুলো বন্ধ করে দিচ্ছে বসবাসকারীরা।
আজ সোমবার(৬ এপ্রিল/২০২০) দুপুরে নীলফামারী জেলার পৌর এলাকার জুম্মাপাড়া, শাহিপাড়া, বাবুপাড়া আলমগীরের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা মহল্লাবাসীরা বহিৃরাগতদের চলাচল বন্ধ করতে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃস্টি করে ঝুঁলিয়ে দিয়েছে লকডাউনের সাইনবোর্ড।
অন্যদিকে সৈয়দপুর পৌরসভার মিস্ত্রিপাড়া, কয়ানিজপাড়া, নয়াটলা, রসুলপুর সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লা বাসী সড়কের ব্যারিকেট দিয়ে লকডাউন করেছে।
এসব এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, শহরের প্রধান সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচল সীমিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাধা অতিক্রম করতে বহিরাগত পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন পাড়া-মহল্লার সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করছে। এতে সংক্রমনের ঝুঁকিতে পড়ছে এলাকায় বসবাসকারীরা। আজ সোমবার সকলে একত্রিত হয়ে স্বেচ্চায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলাচলের প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রবেশ পথে জীবানু নাশক রাখা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে জীবানুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে পাড়ার কেউ বাইরে গেলেও ফিরে আসার সময় জীবানুমুক্ত হবেন।
এবিষয়ে জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা ওয়াদুদ রহমান (৪০) বলেন, প্রধান সড়কে চলাচল সীমিত হওয়ার পর অযাচিত লোকজন ও বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল বেড়েছে পাড়ার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে। এতে সংক্রমন ছড়ানোর ভয় থাকে। আমরা নিজেদেরকে রক্ষার জন্য ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই পাড়ার অপর বাসিন্দা নাইম শাহরিয়া পিউ(৩৮) বলেন, লকডাউনের পরও বহিরাগত ভাবে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ভিতর দিয়ে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করছে। এতে এলাকাগুলি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। তাই সকলের উদ্যোগে পাড়া মহল্লার প্রবেশ স্থান গুলিতে ব্যারিকেড ও ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে শাহীপাড়ার বাসিন্দা শীষ রহমান (৪০) বলেন, আমরা নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে পাড়ায় বহিরাগত মানুষের আগমন রোধ হবে।
এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা স্বউদ্যোগে এ কাজটি করেছেন। তবে সরকারের এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার যেহেতু চাচ্ছেন ঘর থেকে লোকজনর বের না হওয়ার। সে উদ্দেশ্যে সেটি করে থাকলে ভালোই হয়েছে।
নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসা বাড়ি, দোকান, প্রধান সড়কে জীবানু নাশক ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি শহরের ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ, বিলবোর্ড ও শহরের বিভিন্নস্থানে পৌরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য হাত ধোয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নীলফামারী সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন, নিময় না মেনে মাস্ক ছাড়া অনেক যুবক মোটর সাইকেল করে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়কে যাতায়াত করছে। তাই বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম,পিপিএম) জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দহল জোরদার রয়েছে। কোন ধরণের খবর পেলেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘোরি করলে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, এলাকাবাসী নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনেক মহৎ কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল এলাকাবাসীকে সাধুবাদ জানাই। #
তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন এলাকা, হাট বাজারে। প্রশাসন দেখলেই দাড়িয়ে পড়ছে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানের সামনে।
অসচেতন মানুষের এই কার্জক্রম রুখতে সেচ্ছায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার প্রবেশ মুখ গুলো বন্ধ করে দিচ্ছে বসবাসকারীরা।
আজ সোমবার(৬ এপ্রিল/২০২০) দুপুরে নীলফামারী জেলার পৌর এলাকার জুম্মাপাড়া, শাহিপাড়া, বাবুপাড়া আলমগীরের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা মহল্লাবাসীরা বহিৃরাগতদের চলাচল বন্ধ করতে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃস্টি করে ঝুঁলিয়ে দিয়েছে লকডাউনের সাইনবোর্ড।
অন্যদিকে সৈয়দপুর পৌরসভার মিস্ত্রিপাড়া, কয়ানিজপাড়া, নয়াটলা, রসুলপুর সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লা বাসী সড়কের ব্যারিকেট দিয়ে লকডাউন করেছে।
এসব এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, শহরের প্রধান সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচল সীমিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাধা অতিক্রম করতে বহিরাগত পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন পাড়া-মহল্লার সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করছে। এতে সংক্রমনের ঝুঁকিতে পড়ছে এলাকায় বসবাসকারীরা। আজ সোমবার সকলে একত্রিত হয়ে স্বেচ্চায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলাচলের প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রবেশ পথে জীবানু নাশক রাখা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে জীবানুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে পাড়ার কেউ বাইরে গেলেও ফিরে আসার সময় জীবানুমুক্ত হবেন।
এবিষয়ে জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা ওয়াদুদ রহমান (৪০) বলেন, প্রধান সড়কে চলাচল সীমিত হওয়ার পর অযাচিত লোকজন ও বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল বেড়েছে পাড়ার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে। এতে সংক্রমন ছড়ানোর ভয় থাকে। আমরা নিজেদেরকে রক্ষার জন্য ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই পাড়ার অপর বাসিন্দা নাইম শাহরিয়া পিউ(৩৮) বলেন, লকডাউনের পরও বহিরাগত ভাবে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ভিতর দিয়ে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করছে। এতে এলাকাগুলি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। তাই সকলের উদ্যোগে পাড়া মহল্লার প্রবেশ স্থান গুলিতে ব্যারিকেড ও ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে শাহীপাড়ার বাসিন্দা শীষ রহমান (৪০) বলেন, আমরা নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে পাড়ায় বহিরাগত মানুষের আগমন রোধ হবে।
এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা স্বউদ্যোগে এ কাজটি করেছেন। তবে সরকারের এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার যেহেতু চাচ্ছেন ঘর থেকে লোকজনর বের না হওয়ার। সে উদ্দেশ্যে সেটি করে থাকলে ভালোই হয়েছে।
নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসা বাড়ি, দোকান, প্রধান সড়কে জীবানু নাশক ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি শহরের ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ, বিলবোর্ড ও শহরের বিভিন্নস্থানে পৌরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য হাত ধোয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নীলফামারী সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন, নিময় না মেনে মাস্ক ছাড়া অনেক যুবক মোটর সাইকেল করে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সড়কে যাতায়াত করছে। তাই বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম,পিপিএম) জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দহল জোরদার রয়েছে। কোন ধরণের খবর পেলেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘোরি করলে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, এলাকাবাসী নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনেক মহৎ কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল এলাকাবাসীকে সাধুবাদ জানাই। #