ফলোআপ-কিশোরগঞ্জে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দেড়হাজার গ্রামবাসীর উপরে মামলা ,গ্রেফতার আতঙ্কে ছয় গ্রাম পুরুষশূণ্য

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর হাটখোলা বাজারে   পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘষের্র ঘটনায় ২৫ জনকে এজাহার নামীয় ও অঞ্জাত ১৫০০ গ্রামবাসীকে আসামী করে মামলা করছে পুলিশ। ফলে গ্রেফতার আতঙ্কে
৬টি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রামের পুরুষরা গ্রেফতার এড়াতে পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। পবিত্র রমজান মাস ও তার উপরে করোনা ভাইরাসের এই সময় সোমবার মধ্য রাতে পুলিশের এমন ঘটনায় উক্ত এলাকার মানুষজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে সাংবদিকরা গিয়ে দেখতে পায় ওই এলাকার কালিকাপুর মাঝাপাড়া, বালাপাড়া, সুরিপাড়া, ময়দানপাড়া, গফুরপাড়া ও ওমরপাড়া গ্রামে বৃদ্ধ ছাড়া কোন পুরুষ মানুষ বাড়িতে নেই। শুনসান গ্রামের নারীরা নিজনিজ বাড়িতে আতংঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছেন। অনেকে বয়স্ক গৃহবধু জানান, গভীর রাতে পুলিশ সদস্যরা এসে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। তাদের অভিযোগ পুলিশ বিভিন্ন বাড়ির  ঘর ও জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর করেছে। এমনকি একজনের ঘরে থাকা ২০ হাজার টাকা খোয়া যায়। বিকাল ৪টার দিকে দেখা যায় পুলিশের একটি দল পুনরায় ওই সকল গ্রামে আসামী ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত তারা কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে ওই গ্রামের ঈদগা ময়দান নদী ভাঙ্গনের হাত হতে রক্ষার্থে বালু দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ নির্মানে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ সহ তিনজন আহত হয়।
এলাকাবাসী জানায় উক্ত ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থানায় পুলিশের পক্ষে এসআই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ এনে উক্ত এলাকার নামীয় ২৫ জন ও অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামী করা হয়। ওই মামলার আসামী ধরতে সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ অভিযানের নামে বাড়ি বাড়ি তান্ডব চালিয়ে ভাঙ্গচুর করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহবধু অভিযোগ করে জানান, তিনি সিজারের রোগী। তার স্বামী রাতে বাড়িত ছিলনা। মধ্যরাতে পুলিশ এসে দরজা খুলতে বলেন। আমি সিজাররোগী হওয়ায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। পুলিশ আমার ঘরের টিনের বেড়া ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তাদের বলি আমি সিজার রোগী। এরপর আমার ঘর তল্লাশী চালায় তারা। সকালে উঠে দেখি ঘরের বিছানার নিচে রক্ষিত ২০ হাজার টাকা নেই।
গ্রামের  বয়স্ক এক স্কুল শিক্ষক জানায় পুলিশ এসে আমার বাড়ির দরজায় জোড়ে জোড় লাথি দিতে থাকে। আমি উঠে দরজা খুলে দিলে তারা আমাকে হাতকড়ি পড়িয়ে আমার দশম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলেকে খুঁজতে থাকে। পরে আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধনের কার্ডটি জোড়পূর্বক নিয়ে যায়।
এক বৃদ্ধা জানায়  আসামী ধরার নামে পুলিশ ঘরবাড়ির বেড়া ভেঙ্গে ফেলছে। এমন অভিযোগ গ্রামের সকল নারীদের।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলায় পুলিশ আসামী ধরতে অভিযান চালায়। মামলার আসামীরা সকলে পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।  মামলা ১০।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 759937067342639201

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item