কিশোরগঞ্জে এক চিকিৎসক আইসোলেশনে,২৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

মোঃ শামীম হোসেন বাব,কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ওই চিকিৎসকের ছোয়ায় যারা ছিলেন এমন চিকিৎসক, নার্স সহ কিশোরগঞ্জ উপজেলার ২৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে তাদের রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা হাসপাতালটি লকডাউন করা হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু বসত বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা হতে উপজেলা হাসপাতালটি লকডাউনে থাকায় উপজেলাবাসীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিতে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে সেবা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। 
উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স সংশ্লিষ্ট একজন জানান, গত ২৫ মার্চ ওই চিকিৎসক ঢাকায় যান। সেখান থেকে ফিরে ৩ এপ্রিল কর্মস্থল ' যোগ দেন। তিনি জ্বর-সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে গত রবিবার ৩৯তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত এ চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই দিন ওই চিকিৎসকসহ সাতজনের নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে শুধু এই চিকিৎসকই সংক্রমণের শিকার বলে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ফলাফল আসে। 
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি লকডাউন করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা  ভাল রয়েছে। এ ছাড়া ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল চিকিৎসক-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, গতকালকে পুরো উপজেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই চিকিৎসকের কাছাকাছি ছিল এমন ব্যাক্তিদের চিহিৃত করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে  লাল পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি সাধারন মানুষজনকে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সচেনত থাকতে বলেছেন।  
উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান জানান, মঙ্গলবার আমার ইউনিয়নের দুই ব্যক্তি বেলা ২ টার সময় কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার কয়েক ঘন্টা পর সংবাদ পাই হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ওই দুইজন রোগীর বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা ও নারায়ানগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসা ৫০জন শ্রমিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ডাক্তার যে ফার্মেসীতে বসে রোগী দেখতেন সেই দোকানদারের বাড়ি এবং নারায়নগঞ্জ ফেরত একজনের বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাইরের জেলা থেকে আসা ৪০ জনকে হোম কোয়ারেনন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। 
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই হাসপাতালে কর্মরত একজন স্বা¯'্যসেবি এবং আমার ইউনিয়নে আরেক এক বাসিন্দার বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০ জন।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া আমার ইউনিয়নের এক বাসিন্দার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাইরের জেলা থেকে আসা আমার ইউনিয়নের ৮০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।  
মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, মাগুড়া ইউনিয়নের হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৫। বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান জানান, তাঁর ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩০ জন। রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান বিমান জানান, তাঁর ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১০ জন। নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক জানান, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে  আমার ইউনিয়নের ৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছি।
উপজেলা স্বা¯
স্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু শফি মাহমুদ জানান, হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্লান্ত হওয়ার কারনে অলরেডি হাসপাতাল লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। তাঁর মানে আমরা সবাই লকডাউনের মধ্যে আছি। হাসপাতাল লকডাউন থাকায় সাধারন রোগীর কোথায় চিকিৎসা সেবা পাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রামের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সমস্ত কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জরুরী রোগী ক্ষেত্রে সিভিল সার্জেনের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে  ক্যাম্প খোলা হবে। #

পুরোনো সংবাদ

হাইলাইটস 5596784137494673578

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item