কিশোরগঞ্জে সরকারী বালু লুটের মহোৎসব

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালুদস্যুরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রহস্যজনক নীরবতা ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে সরকারীভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে চাঁড়ালকাঁটা  নদীর খননকৃত বালু অবৈধভাবে লুটের মহোৎসবে মেতে উঠেছে তারা।   প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টি পয়েন্ট থেকে  শত শত ট্রাক্টর বালু লুট  হলেও দেখার কেউ নেই। ফলে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৬৪ জেলায় ছোট বড় নদী, খাল ও জলাশয় পুণঃখনন প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাঁড়ালকাঁটা নদীর ২৫ কিলোমিটার অংশ খননের জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।  সরকারীভাবে  নদী খননের চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার চলতি বছরের প্রথম দিকে  নদী খননের কাজ শুরু করে। নীতিমালা অনুয়ায়ী নদীর খননকৃত বালু অবৈধভাবে কেউ যাতে বিক্রি করতে পারে সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে সাইনবোর্ড লাগিয়ে বালু বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাঙ্গা জারি করে দায় সারে  পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারীভাবে খননকৃত চাঁড়ালকাটা নদীর ১৫ থেকে ২০টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বালু ব্যবসায়ীরা। পয়েন্টগুলো হলো, কিশোরগঞ্জ উপজেলার সালটিবাড়ি, কালিকাপুর, মধ্যকালিকাপুর, পাড়ঘাট ব্রীজ সংলগ্ন, মুশরুত পানিয়ালপুকুর, নিতাই পুর্ব কাচারীপাড়া, নিতাই ডাঙ্গারহাট, নিতাই বাড়ি মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ , বাহাগিলি কালুরঘাট ব্রীজ, বাহাগিলি ডাংগাপাড়া, বাহাগিলি হরিমন্দির এবং বাহাগিলি ষ্টিল ব্রীজের কাছেসহ এরকম বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে বালু দস্যুরা শত শত ট্রাক্টরে করে বালু বিক্রি করছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারী না থাকায় প্রতিদিন রাতের আঁধারে এবং কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে সকাল ৯ টা পর্যন্ত যে যার মতো বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অপর দিকে গ্রামীণ রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে।
পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম বলেন, আমি জেনেছি রাতের আঁধারে বালু দস্যুরা এসব বালু বিক্রি করছে। বালু ব্যবসায়ীদের সাথে কিছু প্রভাবশালী জড়িত রয়েছে ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা সরকারী নদী খননের বালু বিষয়ে আমার সাথে কোন পরামর্শ করেনি। তারপরও গতমাসে পুটিমারী ইউনিয়নের সালটিবাড়ি গ্রামে নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় দুজনকে আটক করে ১৫ দিনের করে জেল এবং সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ পাঠিয়ে একটি বালু বোঝাই ট্রলি আটক করে সহিদার রহমান নামে ট্রলির চালককে ৭ দিনের জেল দেয়া হয়েছে। বালু বোঝাই গাড়িটি থানায় রয়েছে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী  রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নীলফামারী জেলার আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বালু বিক্রির বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তাছাড়া, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। সাথে ছবি আছে

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7963354958532770904

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item