নীলফামারীতে আরো এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ১৪ বাড়ি লকডাউন
https://www.obolokon24.com/2020/04/corons.html
নীলফামারী প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধে লকডাউন নীলফামারীতে আরো এক ছাত্রকে(১৭) আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। আজ শনিবার(১১ এপ্রিল/২০২০) সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভের রির্পোট হাতে পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলাতে কোভিট-১৯ করোনা রোগীর সংখ্যা তিন জনে দাঁড়ালো।
জানা যায়, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের বাসিন্দা উক্ত ছাত্র। সে এবার এসএসপি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার গাজিপুরে গিয়ে একটি বাড়িতে কেয়ারটেকার কাজ নিয়ে সেখানে অবস্থান করতো। গত ৬ এপ্রিল সে গাজিপুর থেকে নিজ এলাকায় ফেরত এসে করোনার উপসর্গের কবলে পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ গত ৯ এপ্রিল ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। তার মধ্যে ওই ছাত্র ছিল।
আজ শনিবার বিকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে রির্পোট আসলে ১১ জনের মধ্যে শুধুমাত্রা ওই ছাত্রের রির্পোটে পজেটিভ পাওয়া যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানানো হলে এ্যাম্বুলেন্সে ওই যুবককে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন। পাশাপাশি ওই গ্রামের ১৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।
এলাকার অনেকে অভিযোগ করে বলেন, রাতের আধারে বিভিন্ন গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তা দিয়ে বাহির থেকে এলাকায় প্রবেশ করা হচ্ছে। প্রধান সড়কে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্ট রয়েছে তাই তারা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে। এতে বিভিন্ন গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
উল্লেখ যে, এর আগে গত ৭ এপ্রিল নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঢাকা থেকে আসা একজন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করা হয়। এরপর সেখানে অবস্থানরত ১৯ রোগীসহ চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও হাসপাতাল চত্বরের আবাসিক সদস্য ১৫০ জনকে বাধ্যতাম‚লক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে গত ৯ এপ্রিল নারায়ানগঞ্জ হতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস আক্রান্তে হয় এক শ্রমিক। ফলে সৈয়দপুরে ওই শ্রমিকের গ্রামের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। তাদের আসোলেশনে রাখা হয়েছে। #