পাগলাপীরে করোনা’র প্রভাব কাঁচা বাজারে পড়লেও মাছ মাংসের বাজার চড়া


হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীরঃ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অব্যাহত লকডাউনে রংপুরের পাগলাপীরে বিভিন্ন হাট বাজারে আলু পটল বেগুন, শাক-স্ববজী কাঁচা বাজারে জিনিস পত্র সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ম‚ল্য কমে গেলেও বিভিন্ন জাতের মাছ ও গরু, ছাগল, মহিষের মাংসের চড়া মুল্য হওয়ায় হাত দেওয়া যাচ্ছে না। জানাগেছে সাম্প্রতি মরনব্যাধী রোগ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পাগলাপীর সহ দেশ জুড়ে চলছে লব্যাহত লক ডাউন। অব্যাহত লক ডাউনের কারনে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান শিল্প কলকারখানা যানবাহন ও শিক্ষানগরী পাগলাপীরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বিশেষ করে রিক্সা ভ্যান অটো সিএনজি বাস কোচ ট্রাক নানা হালকা পাতলা যান বাহনের মালিক চালক গার্মেন্টেস শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কুলি দিনজমুর সহ বিভিন্ন পেশার কর্মজীবি মানুষজন বেকার কর্মহীন হয়ে পড়ায় অর্থের অভাবে খাদ্য সংকটে এই সব পরিবারের মানুষজন জীবন যাপন করছেন অনাহারে অদ্যাহারে। ফলে হাট বাজারে ক্রেতা সংকটে শাক স্ববজী সহ কাঁচা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সস্তা দামে পাওয়া গেলেও মাছ ও মাংসের বাজারে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। স্বরজমিনে গতকাল বৃস্পতিবার ঘুরে দেখা গেছে পাগলাপীরের কাঁচা বাজার নামাহাট সহ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ, শসা, কইল্লা, বেগুন, পাট শাক, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, পানি কুমড়া ১০ টাকা কেজি, কাটি নাল আলু ২০ টাকা, শিলবিলাতী ৩০ টাকা, পটল, সিম,, তড়াই, দুধকুশি ৩০ টাকা কেজি সহ কাঁচা বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ম‚ল্য ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এর প্রভাব পড়ছে না মাছ ও মাংসের বাজারে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি গরু ও মহিষের মাংস ৫৫০ থেকে ৫২০ টাকা, ছাগল খাসির মাংস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এছাড়াও ১৫০ টাকার নিচে কোন জাতের মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। পাগলাপীর অঞ্চলের ভুক্তভোগী ক্রেতা সাধারনের অভিযোগ হাট বাজারে মাছ মাংসের ব্যপক আমদানী থাকলেও ম‚ল্য কমছে না। করোনার প্রভাব হাট বাজারে কাঁচা বাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ম‚ল্যে এর প্রভাব পড়লেও মাছ ও মাংসের ম‚ল্য এখন চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা হাট বাজারে গরু ছাগল ও মহিষের ম‚ল্য ক্রেতা সহ মাংস ব্যবসায়ীদের হাতের নাগালে পড়লেও দালালদের দড়াদরি কষাকষির কারনে পঞ্চাশ হাজার টাকা ম‚ল্যের গরু ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। ঐ গরুর মালিক খামারের ভাগ্যে ৪৫-৫০ হাজার টাকা জুটলেও বাকি ২০-২৫ হাজার টাকা তবিল বিহীন দালাল ফরিয়াদের পকেটে। ফলে ৭০ হাজার টাকার গরু ব্যবসায়ীলা ক্রয় করলেও মাংসের কেজি ৫০০ কিংবা ৫৫০ টাকার নিচে গরুন মাংস বিক্রি করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 2249122987302963605

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item