কুড়িগ্রামে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তায় ল্যাট্রিন নির্মাণ করলেন শিক্ষক


হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ 
কুড়িগ্রামে প্রতিবেশীর চলাচল বন্ধে রাস্তায় ল্যাট্রিন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক মাধ্যমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক কচাকাটা থানার ইন্দ্রগড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক মফিজুল ইসলাম। এতে করে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ে যেন অবরূদ্ধ সেখানকার বেশ কয়েকটি পরিবার। সরেজমিন ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ মাস্টার পাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম তার প্রদানকৃত রাস্তা দিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ যাতায়াত করে আসছিল। হঠাৎ মফিজুল ইসলাম রাস্তাটিতে পাকা ল্যাট্রিন নির্মাণ করতে চাইলে বিপাকে পড়েন স্থানীয়রা। চলাচলের একমাত্র এই রাস্তা খোলা রাখতে স্থানীয়রা ল্যাট্রিন নির্মাণে বাধা দিলে মফিজুল ইসলামের বিভিন্ন হুমকীর শিকার হন তারা। শেষে রাস্তাটি খোলা রাখতে স্থানীয় মহৎ ও কচাকাটা থানা পুলিশের শরনাপন্ন হন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তাতেও প্রতিকার মেলেনি বরং স্থানীয় মহৎ ও পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শকে তোয়াক্কা না করেই ল্যাট্রিন নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করেন মফিজুল ইসলাম। এতে চলাচলের বিকল্প আর কোনো রাস্তা না থাকায় তাদের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সহ মসজিদ যাতায়াত নিয়েও চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী সাইফুর রহমান রহমান,হোসেন আলী,আঃ কাদের,আঃ গফুর,আলতাব আলী ও ইসহাক আলীর পক্ষ থেকে আনোয়ার হোসেন বলেন, কী আর বলি ভাই! ২০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি,এতদিন পর রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা বাকরুদ্ধ, অবরূদ্ধ। আমাদের চলাচলের আর কোনো রাস্তা না থাকায় আমরা সবাই মিলে এ রাস্তা সমান জায়গাটির উচিৎ মূল্য  দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা না নিয়ে আরো অনেক জায়গা থাকার পরেও রাস্তার মাঝখানে পাকা ল্যাট্রিন দিয়ে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দিল। এখন আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইরে বের হওয়ার কোনো রাস্তা নাই। এবার ধান কাটা মাড়াই শেষে কীভাবে যে ঘরে নেব জানি না। ষাটোর্ধ বাচ্চু বলেন-এটা কী যুগ আসলো বাহে? মফিজুল নাকি স্কুলের মাস্টার-জাতির বিবেক? এই তার অবস্থা মানুষের হাঁটার পথ বন্ধ করি দেয়! নামায পড়তে মসজিদে যাব সে রাস্তাও রাখেনি। 
এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত শিক্ষক মফিজুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন-উর-রশিদ বলেন, বিষয়টা আমি জানি, বিষয়টা হচ্ছে যে মাস্টার তাদের নিজস্ব যায়গা। সম্ভবত ১৫-২০ বছর যাবত ওরা যাতায়াত করেন। কিন্তু লেট্টিনের সেপটিক ট্যাংকটা রাস্তায় উচু করে দিয়েছে। এতে ওদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবাদ পাওয়ার পর ওদেরকে বলা হয়েছে, যাতে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। ওরা সম্ভবত বসেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যাতে স্থায়ীভাবে তারা চলাচল করতে পারে এধরণের একটা সিদ্ধান্ত হবে। আর আমাদের কাছে যদি আইনগত সহায়তা চায় তবে আমরা দিতে ইচ্ছুক। 
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ন‚র আহমেদ মাসুম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টা দেখার বিষয় আছে। কী সমস্যা খোঁজ নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। 

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 804142235919447738

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item