ডোমার উপজেলায় প্রবেশ করলেই কোয়ারেন্টাইন
https://www.obolokon24.com/2020/04/blog-post_13.html
|
|
এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলা পরিষদ। এই এলাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারের সংখ্যা বেশি থাকায় প্রায় হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলা জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে অবস্থান করে। বর্তমানে সারাবিশ্ব সহ যখন বাংলাদেশ এই করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত ঠিক সেই ম‚হুর্তে এই এলাকার বহু পুরুষ ও মহিলা অতিগোপনে ঢাকা থেকে এসে নিজ বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে। সেই কারনেই স্থানীয় প্রশাসন প্রতিটি এলাকায় মাইকযোগে ব্যপক প্রচার চালিয়ে ঘোষণা করেছেন, যদি কোন পরিবারের সদস্য আসে তাহলে প্রথমেই পুলিশ প্রশাসন অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানাতে হবে। এলাকার পুলিশ প্রশাসন সেই বহিরাগত সদস্যকে নিজ এলাকার কোয়ারেন্টি হাউজে সুস্থ্য থাকলে ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেবে। এই আইনকে যে পরিবার অমান্য করবে তার প্রমান পাওয়া গেলে সেই পরিবারের বাড়িটিকে লকডাউন করা হবে। উল্লেখ্য, ডোমার উপজেলার উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসন এই করোনা ভাইরাস থেকে সাধারন মানুষদের বাঁচানোর জন্য ব্যপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিটি পাড়া মহল্লার প্রধান প্রধান রাস্তাগুলো বাশঁ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এর ম‚ল কারন, কোন বহিরাগত লোক যেন যানবাহনে চোরে আসতে না পারে। তাছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টার পর হাট-বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শুধু ডাক্তারের চেম্বার ও ঔষধের দোকানগুলো খোলা রয়েছে এবং সন্ধ্যা ৬টার পর জনসাধারনের জন্য বাজারঘাট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এব্যপারে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এই দ‚র্দিনে নি¤œ আয়ের মানুষদের নিয়ে আমরা বড় বিপদে আছি। তার পরেও করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সেই পরিবারগুলোকে যতটুকু সম্ভব সাহায্যের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।