নাগেশ্বরীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে অলিগলিতে লকডাউন
https://www.obolokon24.com/2020/04/Nagessori.html
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও যখন মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না তখন বাধ্য হয়েইে ব্যবস্থা গ্রহণ করলো নাগেশ্বরী উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান এবং বিভিন্ন এলাকার তরুণ-যুবকরা। স্থানীয়দের সুরক্ষার কথা ভেবেই কয়েকটি এলাকা এবং নাগেশ্বরী পৌর এলাকার বিএসসি মোড় হয়ে হাজিপাড়া রোডেরে প্রবশপথ বাঁশের টার বেঁধে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি এমনকী আশেরপাশের লোকজনও কেউ করোনায় আক্রান্ত নন। কিন্তু থেমে নেই মানুষের চলাফেরা। আর তাই এলাকার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে এবং নিজে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে বাঁশের বেড়া দিয়ে লকডাউন করে রেখেছে নিজ এলাকা। বৃহস্পতিবার উপজেলার বেশকিছু অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার বিএসসি মোড়ের প্রবেশপথ থেকে হাজিপাড়া হয়ে পাটহাটির মুখে বাঁশের টার বেঁধে লকডাউন ঘোষণা করে ব্যানার টাঙ্গিয়ে রেখেছে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান। জনসচেতনতায় ব্যানারে লিখে দিয়েছেন-নিজে বাঁচুন এবং অপরকে বাঁচান, “করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন”, সর্দি, হাঁচি, কাঁশি, এবং গলা ব্যথা থেকে সতর্ক হোন, সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রেখে চলুন এবং নিজ ঘরে অবস্থান নিন।
এছাড়াও সিনেমা হল সংলগ্ন কামার পাড়া দিয়ে ভিতরের একটি গলির প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার দুই প্রবেশ পথে লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় তরুণ-যুবকরা। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নজরদারীর কারণে কুড়িগ্রাম-ভ‚রুঙ্গামারী মেইন সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কম হওয়ায় অনেকেই বেছে নেয় ভেতরের অলিগলি। এসব অলিগলির রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকার অপিরচিত ও ঢাকা ফেরত লোকজন অবাধে চলাচল করায় তারা লকডাউন করে রেখেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে করোনা প্রতিরোধে পৌরশহরের ভ‚মি অফিস সংলগ্ন গোলাবাড়ী, পাট হ^াটির ভেতরের একটি গলি, পুরাতন বাজার প্রবেশ পথ এবং জোড়াব্রিজ মেম্বারপাড়াসহ আরও কয়েকটি এলাকার প্রবেমপথ লকডউন করে রেখেছে স্থানীয়রা।
কামারপাড়া এলাকার নাহিদ হাসান, হৃদয়, আঙ্গুর, মুহিন, আনিছ, রবিউল, নিশাত জানান তাদের এলাকার রাস্তা দিয়ে ঢাকা ফেরতসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন অবাধে চলাচল করে। কার মাধমে এ এলাকায় করোনা ছড়াবে তাও বোঝা মুশকিল। তাই কামার পাড়া এলাকার প্রবেশপত বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। তবে জরুরি কাজের জন্য স্থানীয় লোকজন হেঁটে চলাচল করতে পারবেন। আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাসুম বলেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোথাও লকডাউন করে রাখা হয়নি। কোথাও করোনার লক্ষণ থাকলে স্থানীয়রা যদি মনে করেন যে সেখানে লকডাউনের প্রয়োজন আছে তবে তারা সেটা করলে করতে পারেন।
উপজেলা চেয়াম্যান মোস্তফা জামান বলেন, আমরা লকডাউন করেছি, যাতে আমাদের পাড়ার লোকজন, বাচ্চা-কাচ্চা বাইরে বের না হয়, বাইরে কোথাও না যায় এবং এলাকার লোকজন যাতে প্রয়োজন ছাড়া কোথাও না যায়, যাতে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারে এই কারণে এলাকার মানুষ মিলে পরামর্শ করে এটা করা হয়েছে।