নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ১৮ ঘর পুরে ছাই
https://www.obolokon24.com/2020/04/Fire_17.html
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক জানান, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের জফর উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন রাতে গরুর গোয়াল ঘরে কয়েল লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরে। হঠাৎ কয়েলের আগুন থেকে আগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়ে মুহুত্বের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে মোশারফসহ ১৩ পরিবারের থাকার ঘর, রান্নাঘর, দোকানঘর, চারটি গরু ও ঘরে রক্ষিত মালামাল পুরে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে কিশোরীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে না আনলে ওই গ্রামের আরো ২০টি পরিবার রক্ষা পায়।
কিশোরীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রেদওয়ানুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো মধ্যে মোশারফ হোসেনের একটি দোকান ঘর, দোকানে রক্ষিত মালামাল ও চারটি গরু, মন্টু মিয়ার দুইটি থাকার ঘর ও নগদ এক লক্ষ টাকা, আবু সায়েমের একটি বসত ঘর, সবুজ মিয়ার দুই বসত ঘর, লিটন মিয়ার একটি বসত ঘর, টন্না মামুদের দুইটি বসত ঘর, ওয়ারেছ আলীর একটি বসত ঘর, জুলেখা বেগমের একটি বসত ঘরসহ মোট ১৩টি পরিবারের বসত ঘর ও রান্নাঘরসহ মোট ১৮টি ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে প্রাথমিকভাবে ৩০ কেজি করে চালসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক পরিবারের মাঝে দুই বান্ডিল করে টিন ও নগদ ছয় হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে। #