নীলফামারী জেলায় আরো দুই ব্যক্তি করোনা পজেটিভ॥এ নিয়ে ৬জন
https://www.obolokon24.com/2020/04/Corona_84.html
জেলা সদরের জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের দোলুয়া দোগাছি ঠাকুরপাড়া গ্রামে আক্রান্ত ১৬ বছর বয়সের কিশোর কুমিল্লার ইটভাটার শ্রমিক। সেখান থেকে গত ৯ এপ্রিল বাড়িতে এসে জ্বর-সর্দি-কাঁশিতে আক্রান্ত হয়ে ১১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসহাপালের ফু কর্ণারে চিকিৎসার জন্য আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা সন্দেহে তাকে আইনোলেশনে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
অপরদিকে ডিমলা উপজেলার বালাপাড়ার দক্ষিন সুন্দরখাতা গ্রামের আক্রান্ত ১৮ বছর বয়সের যুবক লেখাপড়ার জন্য ঢাকায় অবস্থান করে। সেখান থেকে গত মার্চ মাসের শেষের দিকে বাড়িতে এসে জ্বর-সর্দি-কাঁশিতে আক্রান্ত হয়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হলে ১১ এপ্রিল তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে। আজ মঙ্গলবার বিকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের রির্পোট আসলে সেখানে পজেটিভ আসে। তাদের নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসেলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়েছে ।
সুত্র মতে, এর আগে গত ৭ এপ্রিল কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক, ৯ এপ্রিল সৈয়দপুরে একজন যুবক এবং গত ১১ এপ্রিল ডিমলা উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী, ১৩ এপ্রিল জলঢাকা উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রের করোনা সনাক্ত হয়। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসেলেশন ওয়ার্ডে ৪জন, সৈয়দপুর হাসপাতালের আইসেলেশন ওয়ার্ডে ১জন ও কিশোরীগঞ্জ হাসপাতালের একজন ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রয়েছে। তারা সকলে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা।
এদিকে নীলফামারীকে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন হাফিজুর রহমান চৌধুরী লকডাউন ঘোষনা করেছেন। জেলার ছয় উপজেলার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে পুলিশের ১৪টি চেকপোস্ট। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ৯ এপ্রিল থেকে নীলফামারী অঘোষিত লকডাউনে ছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর থেকে লকডাউন ঘোষণায় মাইকিং করা হচ্ছে।