কিশোরগঞ্জে বিদ্যুতের তারে শক লেগে ১১ বছরের শিশু গুরুতর আহত
https://www.obolokon24.com/2020/04/Accident_21.html
ঘঁটনাটি ঘঁটেছে রবিবার বিকাল ৫ টায় চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ী গ্রামে।আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর পানিউন্নয়ন উন্নয়ন র্বোডের আওতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার চালারকাটা নদীর ২৫ কিলোমিটার পূর্ণখনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। সঠিক তদারকি না থাকায় ও কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্ক না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যত্রতত্র বালু উত্তোলন করে বালুর পাহার গড়েছে। নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুৎতের একারো হাজার ভোল্টের কাছাকাছি বালু উত্তোলন করে রাখায় ১১ হাজার ভোল্টের লাইন কাছাকাছি চলে আসে । এলাকাবাসী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার সুইস মন্ডলকে বার বার বলা সত্যেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেয় নি। ফলে শিশুটি বালুর উপর উঠলে পল্লী বিদ্যুতের তারে শক লেগে আহত হয়।
ছেলেটির চাচাত ভাই আপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার নদী খনন কাজে কোন নীতিমালা অনুসরন করছেনা, আল্লাহর রহমত শিশুটি বতর্মানে সুস্থ আছে, যদি আমরা শিশুটির চিতকার শুনে তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে না যেতাম তাহলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটত।
এব্যাপারে সুইস মন্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাজ চলতেছে বিধায় কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৬৪ জেলায় ছোট বড় নদী, খাল ও জলাশয় পুণঃখনন প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাঁড়ালকাঁটা নদীর ২৫ কিলোমিটার অংশ খননের জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মশিয়ার মন্ডললের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং কর্মচারীদের ওখান থেকে বালু অপসারণের জন্য বলে দিয়েছি।
নদী খনন কাজের তদারকি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন জেলা সমন্বয় কমিটিতে নদী খননের বালু নদীর জায়গায় রাখার জন্য বলা হয়েছে পরে তা নিলামে বিক্রি করা যায়। এর বেশি তিনি আর বলতে চাননি।
পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইবনে সিফাদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি কোন অভিযোগ পাননি বলে জানান।