সৈয়দপুরে দুই বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা  হয়েছে। ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া কবিরপুর থেকে গত মঙ্গলবার সকালে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। গতকাল (বুধবার) কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
 সৈয়দপুর থানা পুলিশ জানায়,উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাড়াইশালপাড়ার মৃত. আব্দুস্ সোবহানের  ছেলে মো. খায়রুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে গত ২০১৩ সালে নীলফামারী আদালতে চেক সংক্রান্ত একটি প্রতারণার মামলা করা হয়। ওই মামলাটি হওয়ার পর থেকেই আসামি খায়রুল পলাতক ছিল। গত বছরের শেষে নীলফামারীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক  আসামির অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন। এতে তাঁর দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় অনাদায়ে আরো ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। পরে আদালত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকর করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আদালতের  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সৈয়দপুর থানায় এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে সোর্স নিয়োগ করেন। পরে সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক ওই আসামি ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকার কবিরপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নৈশ  প্রহরী হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
এমন তথ্য পেয়ে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক  (এসআই) মো. সাহিদুর রহমান ও সহকারি উপ-পরিদর্শক রঞ্জন কুমার গত মঙ্গলবার সাভারে গিয়ে সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় কবিরপুরের একটি ভাড়া বাসা থেকে পলাতক আসামি খায়রুলকে গ্রেপ্তার করেন। রাতেই তাঁকে সৈয়দপুরে নিয়ে আসে পুলিশ। গতকাল (বুধবার) দুপুরে দুই বছরের কারাদন্ডপ্রাাপ্ত পলাতক ওই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
 দুই বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. আবুল হাসনাত খান।       

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5944480290312947800

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item