নজরদারীতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর,করোনা ভাইরাস আতংকে যাত্রী পারাপার কম
https://www.obolokon24.com/2020/03/panchagar_12.html
সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাসের আতংকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এর কার্যক্রম। বিশেষ নজরদারীতে রাখা হয়েছে তেতুলিয়ায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে।
কমে গেছে যাত্রী পারাপারসহ মালামাল আমদানিতেও প্রভাব পড়েছে। যার ফলে তুলনামুলক রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। বসানো হয়েছে বিশেষ মেডিকেল টিম। পর্যাপ্ত পরিমান করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার সরঞ্জাম এবং চিকিৎসকদের নিজেদের প্রয়োজনীয় পোষাক ছাড়াই ঝুপড়ি ঘরে দেয়া হচ্ছে সেবা।
দেশের উত্তরের প্রবেশদ্বার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি রয়েছে পুরো আতংকিত। এ বন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পর্যটক যাত্রী সহ পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভাররা। পাশেই রয়েছে চীনের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রাষ্ট্র। ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে বিশেষ মেডিকেল টিম স্থাপন করেছে ভারত সরকার। দেশে করোনা ভাইরাসে তিনজন আক্রান্তের সনাক্ত হওয়ায় আতংক বিরাজ করতে থাকে সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায়।
বুধবার দুপুরে ভারতে রেড়াতে যাওয়ার সময় বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশী বংশভ’ত আমেরিকান নাগরিক দিপেশ রায়কে। তিনি জানান, আমার জন্মস্থান ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ছোট পলাশবাড়ি গ্রামে। আমি আমেরিকান নাগরিক গত ৪ মার্চ দেশে আসি বাবা-মাকে দেখতে। পর্যটক হিসাবে ভারতে রেড়াতে যাচ্ছিলাম কিন্তু ভারতীয় ইমিগ্রেশন করোনা ভাইরাসের আতংকে আমাকে সে দেশে গ্রহন করতে অপারগতা জানিয়েছে।
ইমিগ্রেশন ওসি মোকছেদ আলী জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ যাত্রী পারাপার কিছুটা কমেছে। জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ মাসে অনেক যাত্রী কম। যেখানে ১০ ফেব্রুয়ারিতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ২৯৭ জন সেখানে ১০ মার্চ মাত্র ১০৫ জন। তবে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এ বন্দরে থার্মাল স্কীনার মেশিন বসানো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ মেডিকেল টিমের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. কামিয়াবী দৃষ্টি জানান, তিন জনের মেডিকেল টিমে একজন মেডিকেল অফিসার ও ২ জন স্বাস্থ্য সহকারি কর্মরত আছি। এখানে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি। গতকাল বুধবার ভারত থেকে দেশে আসা এক নাগরিকের তাপমাত্রা পাওয়া গেছে সর্বচ্চো ৩৭ দশমিক ৯ সেন্টিগ্রেড, তবে তার শরীরে সর্দি কাশি জ¦র ছিলনা। তিনি আরো জানান আমরা নিজেরাই প্রয়োজনীয় পোষাক না থাকায় আতংকের মাঝে আছি ।
স্থলবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত আলী মিয়া জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩শর অধিক পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। যাত্রী পারাপার কিছুটা কমলেও আমদানি-রপ্তানিতে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। পণ্যবাহী ট্রাক আগের মতই স্বাভাবিক চলাচল করছে। সোমবার ভারতে হলি উৎসব থাকার কারনে দু‘দিন কম গাড়ি প্রবেশ করেছে।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দুই শিফটে আমাদের মেডিকেল টিম নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বলতে ওখানে শুধু জ¦র মাপা যন্ত্র থাকবে, পোষাক সেরকম এখনও সরবরাহ করা হয়নি। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ মানসম্মত ঘর না দেওয়ায় ঝুপড়ি ঘরে আমাদের সেবা দিতে হচ্ছে যেহেতু এটি একটা জাতীয় সমস্যা। বন্দও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জীবনের ঝুকি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।
কমে গেছে যাত্রী পারাপারসহ মালামাল আমদানিতেও প্রভাব পড়েছে। যার ফলে তুলনামুলক রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। বসানো হয়েছে বিশেষ মেডিকেল টিম। পর্যাপ্ত পরিমান করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার সরঞ্জাম এবং চিকিৎসকদের নিজেদের প্রয়োজনীয় পোষাক ছাড়াই ঝুপড়ি ঘরে দেয়া হচ্ছে সেবা।
দেশের উত্তরের প্রবেশদ্বার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি রয়েছে পুরো আতংকিত। এ বন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পর্যটক যাত্রী সহ পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভাররা। পাশেই রয়েছে চীনের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রাষ্ট্র। ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে বিশেষ মেডিকেল টিম স্থাপন করেছে ভারত সরকার। দেশে করোনা ভাইরাসে তিনজন আক্রান্তের সনাক্ত হওয়ায় আতংক বিরাজ করতে থাকে সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায়।
বুধবার দুপুরে ভারতে রেড়াতে যাওয়ার সময় বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশী বংশভ’ত আমেরিকান নাগরিক দিপেশ রায়কে। তিনি জানান, আমার জন্মস্থান ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ছোট পলাশবাড়ি গ্রামে। আমি আমেরিকান নাগরিক গত ৪ মার্চ দেশে আসি বাবা-মাকে দেখতে। পর্যটক হিসাবে ভারতে রেড়াতে যাচ্ছিলাম কিন্তু ভারতীয় ইমিগ্রেশন করোনা ভাইরাসের আতংকে আমাকে সে দেশে গ্রহন করতে অপারগতা জানিয়েছে।
ইমিগ্রেশন ওসি মোকছেদ আলী জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ যাত্রী পারাপার কিছুটা কমেছে। জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ মাসে অনেক যাত্রী কম। যেখানে ১০ ফেব্রুয়ারিতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ২৯৭ জন সেখানে ১০ মার্চ মাত্র ১০৫ জন। তবে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এ বন্দরে থার্মাল স্কীনার মেশিন বসানো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ মেডিকেল টিমের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. কামিয়াবী দৃষ্টি জানান, তিন জনের মেডিকেল টিমে একজন মেডিকেল অফিসার ও ২ জন স্বাস্থ্য সহকারি কর্মরত আছি। এখানে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি। গতকাল বুধবার ভারত থেকে দেশে আসা এক নাগরিকের তাপমাত্রা পাওয়া গেছে সর্বচ্চো ৩৭ দশমিক ৯ সেন্টিগ্রেড, তবে তার শরীরে সর্দি কাশি জ¦র ছিলনা। তিনি আরো জানান আমরা নিজেরাই প্রয়োজনীয় পোষাক না থাকায় আতংকের মাঝে আছি ।
স্থলবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত আলী মিয়া জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩শর অধিক পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। যাত্রী পারাপার কিছুটা কমলেও আমদানি-রপ্তানিতে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। পণ্যবাহী ট্রাক আগের মতই স্বাভাবিক চলাচল করছে। সোমবার ভারতে হলি উৎসব থাকার কারনে দু‘দিন কম গাড়ি প্রবেশ করেছে।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দুই শিফটে আমাদের মেডিকেল টিম নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বলতে ওখানে শুধু জ¦র মাপা যন্ত্র থাকবে, পোষাক সেরকম এখনও সরবরাহ করা হয়নি। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ মানসম্মত ঘর না দেওয়ায় ঝুপড়ি ঘরে আমাদের সেবা দিতে হচ্ছে যেহেতু এটি একটা জাতীয় সমস্যা। বন্দও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জীবনের ঝুকি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।