পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় পুড়ে যাওয়া বিকল রেল ইঞ্জিন সচল
https://www.obolokon24.com/2020/02/rail.html
এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরেরর পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় পুড়ে যাওয়া একটি বিকল ইঞ্জিন সচল করা হয়েছে। সিলেট-ঢাকা রুটে দূর্ঘটনা কবলিত পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি সচল করে বুধবার রেল বহরে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এটিই দেশের প্রথম বিকল ইঞ্জিন সচল করা হল।
জানা গেছে, রেলপথে চলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়া একটি রেলওয়ে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সচল করেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)। কেলোকার প্রকৌশলী ও দক্ষ শ্রমিকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওই ইঞ্জিনটি মেরামত করে সচল করে। দেশে মেরামত করে ইঞ্জিন সচল করার ঘটনা এটাই প্রথম। সচল ইঞ্জিনটি আগামীকাল বুধবার রেলবহরে যুক্ত করা হবে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১১টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয় ২০১৩ সালে। ওই ইঞ্জিনগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কম্পানিতে তৈরি এমইআই-১৫ শ্রেণির। বিশ্বমানের এসব ইঞ্জিন দিয়ে দেশের ভেতরে বিভিন্ন রেলপথে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিকে ২০১৬ সালে ৭ অক্টোবর ২৯৩৩ নম্বর ইঞ্জিনটি ঢাকা-সিলেট রেলপথে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় হবিগঞ্জের মাধবপুর নোয়াপাড়া স্টেশনে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় পতিত হলে ইঞ্জিনটির নিচের অংশের জ্বালানি ট্যাংকে আগুন ধরে পুড়ে যায়। ফলে তা সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে নেওয়া হয়। ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে তা কোনোভাবেই মেরামত করা যাচ্ছিল না। পরে ২০১৯ সালের ১৫ মে ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য দিনাজপুরের পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) পাঠানো হয়। এরপর সেখানে ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ খুলে কারখানার দক্ষ শ্রমিক-প্রকৌশলীরা ইঞ্জিনটি পুনর্র্নিমাণে কাজ শুরু করেন। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ মেরামত ও সংযোজনের পর তা সচল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আগুনে পুড়ে ইঞ্জিনটি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছিল, যা প্রতিস্থাপন করে সফলতা দেখিয়েছেন কেলোকার দক্ষ শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে, কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা জানান, দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পর দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি মেরামত করে সচল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইঞ্জিনটি রেল বহরে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও সামান্য কিছু কাজ কর্ম শেরে আগামীকাল বুধবার থেকে ইঞ্জিনটি রেল বহরে সংযুক্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ন পুড়ে যাওয়া ইঞ্চিনটি মেরামত করতে দেশীয় মুদ্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে। তবে এ ধরনের একটি নতুন ইঞ্জিনের মূল্য ৩৫ কোটি টাকা।
দিনাজপুরেরর পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় পুড়ে যাওয়া একটি বিকল ইঞ্জিন সচল করা হয়েছে। সিলেট-ঢাকা রুটে দূর্ঘটনা কবলিত পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি সচল করে বুধবার রেল বহরে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এটিই দেশের প্রথম বিকল ইঞ্জিন সচল করা হল।
জানা গেছে, রেলপথে চলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়া একটি রেলওয়ে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সচল করেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)। কেলোকার প্রকৌশলী ও দক্ষ শ্রমিকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওই ইঞ্জিনটি মেরামত করে সচল করে। দেশে মেরামত করে ইঞ্জিন সচল করার ঘটনা এটাই প্রথম। সচল ইঞ্জিনটি আগামীকাল বুধবার রেলবহরে যুক্ত করা হবে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১১টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয় ২০১৩ সালে। ওই ইঞ্জিনগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কম্পানিতে তৈরি এমইআই-১৫ শ্রেণির। বিশ্বমানের এসব ইঞ্জিন দিয়ে দেশের ভেতরে বিভিন্ন রেলপথে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিকে ২০১৬ সালে ৭ অক্টোবর ২৯৩৩ নম্বর ইঞ্জিনটি ঢাকা-সিলেট রেলপথে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় হবিগঞ্জের মাধবপুর নোয়াপাড়া স্টেশনে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় পতিত হলে ইঞ্জিনটির নিচের অংশের জ্বালানি ট্যাংকে আগুন ধরে পুড়ে যায়। ফলে তা সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে নেওয়া হয়। ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে তা কোনোভাবেই মেরামত করা যাচ্ছিল না। পরে ২০১৯ সালের ১৫ মে ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য দিনাজপুরের পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) পাঠানো হয়। এরপর সেখানে ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ খুলে কারখানার দক্ষ শ্রমিক-প্রকৌশলীরা ইঞ্জিনটি পুনর্র্নিমাণে কাজ শুরু করেন। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ মেরামত ও সংযোজনের পর তা সচল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আগুনে পুড়ে ইঞ্জিনটি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছিল, যা প্রতিস্থাপন করে সফলতা দেখিয়েছেন কেলোকার দক্ষ শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে, কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা জানান, দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পর দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি মেরামত করে সচল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইঞ্জিনটি রেল বহরে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও সামান্য কিছু কাজ কর্ম শেরে আগামীকাল বুধবার থেকে ইঞ্জিনটি রেল বহরে সংযুক্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ন পুড়ে যাওয়া ইঞ্চিনটি মেরামত করতে দেশীয় মুদ্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে। তবে এ ধরনের একটি নতুন ইঞ্জিনের মূল্য ৩৫ কোটি টাকা।