প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জান্নাত কামনায় জান্নাতী


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূন্ন বিনামুল্যে গ্রহহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্প থেকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য জান্নাত কামনা করেছেন জান্নাতী বেগম। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ সরকারী ১২ শতক খাস জমিতে এ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় তার জন্য দোয়া কামনা করেছেন তিনি। 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসুচীর আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৮ টি পরিবারের জন্য এক কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। প্রতিটি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা।  সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ ৯ টি ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র, স্বামী পরিত্যাক্ত , পুর্ণবাসিত ভিক্ষুক এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন মানুষকে  সনাক্ত করে এসব ঘর নিমাণ করে দিচ্ছেন। 
গত বৃহস্পতিবার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী মাষ্টারপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী ১২ শতক খাস জমিতে জান্নাতী বেগম নামে এক অসহায় দরিদ্র নারী জান্নাতী বেগমের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এসময় জান্নাতী বেগম বলেন, আমি খুবই গরীব আমি আমার তিন সন্তানকে নিয়ে আমার চাচা শশুর সুলতান মিয়ার দয়ায় তার দেড় শতক জমিতে একটি ছাপড়া ঘরে কোন রকমে জীবন যাপন করছিলাম। সরকারীভাবে ঘর প্রদান করা হচ্ছে খশর পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে দেখা করে একটি ঘরের জন্য আবেদন করলে তিনি নিজে আমার বাড়িতে এসে আমার করুণ দশা দেখে সরকারী ১২ শতক খাস জমি আমার নামে বরাদ্দ দেন এবং সেই জমিতে আমাকে ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। আমি কোনদিন ভাবতেও পারিনী স্বামী সন্তান নিয়ে পাকা বাড়িতে থাকব। আমি প্রতিদিন নামাজে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ যেন প্রধানমন্ত্রীকে জান্নাত দান করেন। এরকম অসহায় দরিদ্র বাহাগিলি ইউনিয়নের ছলি মামুদের স্ত্রী রোকসানা বেগম, বড়ভিটা ইউনিয়নের খয়ের উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন, চাঁদখানা উইনিয়নের আব্দুর রহিমের স্ত্রী ফেরোজা বেগমসহ সকলেই থাকার জায়গা পেয়ে  প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া কামনা করেছেন। 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবুল হাসনাত সরকার বলেন, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৩৮ জন উপকারভোগীর ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুইটি করে রুম (থাকার ঘর) একটি রান্নাঘর ও একটি করে স্বাস্থ্য সম্নত টয়লেট নির্মাণ করে দেয়া হবে। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই প্রকল্পটির প্রতি আমাদের বিষেশ নজরদারী রয়েছে। ৩৮ জন উপকারভোগীর ঘর নির্মাণ কাজ দ্রত শেষ করে কিছুদিনের মধ্যেই হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে এ সব ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6940987669105152669

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item