৯ বছর পর বিচারের দাবিতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী
https://www.obolokon24.com/2020/02/felani.html
ডেস্ক
ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার আপিল শুনানি এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সর্বোচ্চ এই আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি কে এম যোশেফের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে কার্যক্রম শুরু হয়।
এ দিন প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন ভারতীয় আদালত।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা বর্ডারের খিতাবের কুঠি এলাকায় ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের সদস্যরা ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে। ভারতীয় বাহিনীটির ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরী হাট ক্যাম্পের জওয়ানদের মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। তখন ফেলানীর লাশ দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বাবার সঙ্গে ফেলানী রাজধানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।
২০১৫ সালের আগস্ট মাসে কলকাতার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সম্পাদক কীরিটি রায় এবং নিহত ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম মেয়েকে হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন। মূলত সেই রিট আবেদনে বিবাদী করা হয় ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সিবিআইর পরিচালককে।
পরবর্তীকালে বিএসএফের যে জওয়ানের গুলিতে ফেলানী নিহত হয়েছিল, সেই অমিয় ঘোষ নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন। বিএসএফের বিশেষ আদালত তখন তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এরপর বাহিনীটির রায় পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সেখানেও অমিয় ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি।
সর্বশেষ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পান ফেলানীর বাবা। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার আপিল শুনানি এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সর্বোচ্চ এই আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি কে এম যোশেফের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে কার্যক্রম শুরু হয়।
এ দিন প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন ভারতীয় আদালত।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা বর্ডারের খিতাবের কুঠি এলাকায় ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের সদস্যরা ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে। ভারতীয় বাহিনীটির ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরী হাট ক্যাম্পের জওয়ানদের মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। তখন ফেলানীর লাশ দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বাবার সঙ্গে ফেলানী রাজধানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।
২০১৫ সালের আগস্ট মাসে কলকাতার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সম্পাদক কীরিটি রায় এবং নিহত ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম মেয়েকে হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন। মূলত সেই রিট আবেদনে বিবাদী করা হয় ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সিবিআইর পরিচালককে।
পরবর্তীকালে বিএসএফের যে জওয়ানের গুলিতে ফেলানী নিহত হয়েছিল, সেই অমিয় ঘোষ নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন। বিএসএফের বিশেষ আদালত তখন তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এরপর বাহিনীটির রায় পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সেখানেও অমিয় ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি।
সর্বশেষ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পান ফেলানীর বাবা। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।