পার্বতীপুরে বনভোজনের চাঁদা দিতে না পারায় ১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার॥ তদন্ত কমিটি গঠিত ॥
https://www.obolokon24.com/2020/02/dinajpur_48.html
এম এ আলম বাবলু পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বনভোজনের চাঁদা দিতে না পারায় ১৮ শিক্ষার্থী বহিস্কার ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশমত বনভোজনের নির্ধারিত চার শ’ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় গতকাল বুধবার একই বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার রংপুরের পায়রাবন্দে বনভোজনের আয়োজন করে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়। এ জন্য শিক্ষার্থী জনপ্রতি ৪’শ টাকা চাঁদা ধরা হয়।
তবে বিদ্যালয়ের ২৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দরিদ্র ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদার টাকা জোগাড় করতে না পারায় তারা বনভোজনে যায়নি।
বনভোজন উপলক্ষে বিদ্যালয় দুদিন ছুটি ঘোষণা করে। বনভোজনের ছুটি শেষে বুধবার ওই ১৮ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তাদের প্রত্যেকের হাতে বহিস্কারপত্র তুলে দেন। তাদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঁচ, ৭ম শ্রেণির দুই, ৮ম শ্রেণির সাত ও ৯ম শ্রেণির চার শিক্ষার্থী রয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ বলেন, তাদের সন্তানরা চাঁদা দিতে না পারায় বনভোজনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বখাটে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে তিনটি মাইক্রোবাসে আমাদের সারা দিন অনুসরণ ও বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বনভোজনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করায় ওই ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মতামত নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনি ঢাকায় থাকায় তার মতামত নেয়া হয়নি। তবে, সভাপতি ছাড়া বনভোজনে অংশ নেয়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সদস্যের পরামর্শে ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেরাজুল ইসলাম বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে। এর একটি অনুলিপি আমি পেয়েছি।
এদিকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাটি সরজমিনে তদন্ত করার জন্য উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। গঠিত কমিটির সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তদন্তকার্য শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, তদন্ত কমিটির প্রধান পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি আজ সকাল থেকে সরজমিনে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বনভোজনের চাঁদা দিতে না পারায় ১৮ শিক্ষার্থী বহিস্কার ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশমত বনভোজনের নির্ধারিত চার শ’ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় গতকাল বুধবার একই বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার রংপুরের পায়রাবন্দে বনভোজনের আয়োজন করে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়। এ জন্য শিক্ষার্থী জনপ্রতি ৪’শ টাকা চাঁদা ধরা হয়।
তবে বিদ্যালয়ের ২৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দরিদ্র ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদার টাকা জোগাড় করতে না পারায় তারা বনভোজনে যায়নি।
বনভোজন উপলক্ষে বিদ্যালয় দুদিন ছুটি ঘোষণা করে। বনভোজনের ছুটি শেষে বুধবার ওই ১৮ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তাদের প্রত্যেকের হাতে বহিস্কারপত্র তুলে দেন। তাদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঁচ, ৭ম শ্রেণির দুই, ৮ম শ্রেণির সাত ও ৯ম শ্রেণির চার শিক্ষার্থী রয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ বলেন, তাদের সন্তানরা চাঁদা দিতে না পারায় বনভোজনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বখাটে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে তিনটি মাইক্রোবাসে আমাদের সারা দিন অনুসরণ ও বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বনভোজনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করায় ওই ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মতামত নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনি ঢাকায় থাকায় তার মতামত নেয়া হয়নি। তবে, সভাপতি ছাড়া বনভোজনে অংশ নেয়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সদস্যের পরামর্শে ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেরাজুল ইসলাম বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে। এর একটি অনুলিপি আমি পেয়েছি।
এদিকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাটি সরজমিনে তদন্ত করার জন্য উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। গঠিত কমিটির সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তদন্তকার্য শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, তদন্ত কমিটির প্রধান পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি আজ সকাল থেকে সরজমিনে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।