পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে আয় বাড়লেও যাত্রী সেবার মান বাড়েনি

এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ 
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের বৃহৎ পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে যাত্রী পরিবহন খাতে আয় বাড়লেও সে তুলনায় যাত্রী সেবার মান মোটেও বাড়েনি। আধুনিক মানের ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হলেও সে অনুপাতে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে যাত্রী সেবা মানের তেমন কোন পরিবর্তন হয় নি। শতাধিক বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী চার লাইনের সংযোগ স্থল পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে যাত্রী সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে আধুনিক মানের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হলেও এই জংশনে যাত্রী সেবার মান সেই অনুপাতে বাড়ছে না।
প্রতিদিন এই রেলওয়ে জংশনের উপর দিয়ে আধুনিক মানের ১০ জোড়া আন্তঃনগর, ৩ জোড়া মেইল, ১ জোড়া লোকাল ও ২ জোড়া ডেম্যু ট্রেন নিয়মিত চলাচল করলেও যাত্রী সাধারন এখানে এসে যাত্রী সেবা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জংশনটিতে ৫টি প্লাটফর্ম থাকলেও সেখানে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের বিশ্রামের তেমন কোন আধুনিক মানের সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠেনি। জংশনের ১নম্বর প্লাটফর্মে ওয়েটিং রুম থাকলেও সেখানে সব যাত্রীদেরই বসার সু-ব্যবস্থা নেই। জংশনে ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মে যাত্রী বসার আসন না থাকায় ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের দাঁড়িয়েই সময় পার করতে হয়। ৪ ও ৫নং প্লাটফর্মে কিছু যাত্রী বসার আসন থাকলেও সেখানে প্রয়োজনীয় পরিমান সেড না থাকায় যাত্রী সাধারনকে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। জংশনটিতে পানিয় জলের সু-ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রী সাধারনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ওয়েটিং রুম ব্যতিত জংশনের টিকেট কাউন্টার এলাকায় (মুসাফির খানা) সৌচাগার থাকলেও সেগুলো দীর্ঘদিন  ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে যাত্রী সাধারনকে প্রসাব-পায়খানার জন্য জংশনের বাইরে যেতে হয়। ১নম্বর প্লাটফর্মের টিকেট কাউন্টারে এবং জংশনের অন্যসব প্লাটফর্মে টিকেট কাউন্টার কোথায় এ ধরনের কোন সাইন বোর্ড না থাকায় যাত্রীদের টিকেট কাটতে যেতে সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। প্রয়োজনীয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে অনেক স্থানেই অহরহ র্দূগন্ধের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এখানে বিদ্যামান থাকায় ট্রেন যাত্রীরা তাদের কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যাত্রী সেবার মান না বাড়লেও এই জংশনে যাত্রী পরিবহন খাতে আয় বেড়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে এই জংশনে যাত্রী পরিবহন খাতে আয় হয়েছে, ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৪১৯ টাকা। অথচ গত ডিসেম্বর/২০১৯ মাসে যাত্রী পরিবহন খাতে এই জংশনে আয়ের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৫১ হাজার ৯২২ টাকা। এক মাসে আয়ের লক্ষ মাত্রার চেয়ে আয় হয়েছে বেশি। অথচ যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জনবল স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাঙ্খিত যাত্রী সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবী করছেন। এই জংশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা যাত্রীসেবার মান বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। 
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাষ্টার মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাঙ্খিত যাত্রীদের সেবা দেওয়া সম্ভব না হলেও আমরা যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সর্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি। তবে যাত্রীরা যাতে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে ট্রেন ভ্রমন করতে পারেন সেজন্য আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 2759535162186245072

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item