ডিমলায় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রতীকী অনশন
https://www.obolokon24.com/2020/02/dimla_65.html
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : আসুন শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করি, ভাষা শহীদদের সম্মান করি, নাগরিকত্ব বোধ জাগ্রত করি” ‘আমরা সবাই সে¦চ্ছাসেবী, দেশের সেবায় এগিয়ে আসি’ এই শ্লোগানে ডিমলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্য পরিষদ এর উদ্যোগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রতীকী অনশন করেছে। বৃহস্প্রতিবা (২০-ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ অনশন করেন।
বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ যথাযথ ভাবে উদযাপনের লক্ষে এবং শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করার মূল উদ্যেশে প্রতীকী অনশনে বেনার-ফেসটুনে তুলে ধরা হয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠা, ধুমপান করার প্রতিবাদ ও শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য গণসচেতনতা মূলক বাণী।
ডিমলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্য পরিষদ কমিটির সভাপতি সেকেন্দার আলী বাদশার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশার সঞ্চালনায় গণসচেতনতা মূলক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠটির সাধারণ সম্পাদক অনুকুল কুমার রায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, ডিমলা থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে সম্মান করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠা, বসে ধুমপান করা ও শহীদ মিনারের আশেপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলানো কাজ মানুষ্যত্বের মধ্যে পরে না। শহীদ মিনার হচ্ছে একটি পবিত্র জায়গা, আমরা দেশকে ভালবাসবো, শহীদের সম্মান করব, আমরা সকলেই সচেতন হলে তবে এ দেশ এগিয়ে যাবে। এবং উক্ত সংগঠনটির সভাপতি সেকেন্দার আলী বাদশা তার সমাপনি বক্তব্যে দাবি করেন যে, আমরা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা শহীদ মিনার ও স্মৃতি অম্লান চাই, নিরাপত্তা বেস্টুনি চাই, নিরাপত্তার জন্য একজন প্রহরী চাই এবং শহীদ মিনার ও স্মৃতি অম্লান প্রতি মাসে একবার করে পরিস্কার চাই।
এর পূর্বে সকাল ১০টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি র্যালী বের হয়ে প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে আবারো শহীদ মিনার চত্বরে এসে প্রতীকী অনশনে অংশ গ্রহণ করার পূর্বে শহীদ মিনারের আশপাশ পরিস্কারার পরিচ্ছনতা করা হয়।