ডোমারে বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষ সংকট! খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারনে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে দেখা গেছে।
এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে, উপজেলা ভোগডাবুরী ইউনিয়নের প্রামানিক পাড়া সরকারী বিদ্যালয়ে। ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পুরনো বিদ্যালয়টি ১৯৪০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমে কুঁড়ে ঘর পরে টিনের ঘর সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে পাকাঁ ওয়াল দিয়ে উপরে টিন দ্বাড়া নির্মিত করা হয়েছিল তখন রুম সংখ্যা ছিল ৩ টি।
কয়েক বছর পর ২০০১ সালে নতুন ভবন নির্মান করা হয়। যাহার রুম সংখ্যা ৩ টি অফিস রুম না হওয়ার কারনে সিড়ি ঘরে শিক্ষকরা অফিস করছে। বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩শত জনের মত দুই শিফটে স্কুল চালানো হয়, ওয়ান, টু,থ্রি , সকাল ৯ টা থেকে দপুর ১২টা পর্যন্ত  এরপর ফোর, ফাইভ ১২ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মতিয়া বেগম জানান, ৬ টি ক্লাসের জন্য ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যানুপাতে বসার জায়গা হয় না। ছাত্র ছাত্রীরা গাদাগাদী করে কোন রকম ক্লাস করে, আর শিশু শ্রেনীর কচি বচ্চাদের কোন রুম বা জায়গা নেই, তাই মাঠে বসে ক্লাস করানো হয়। তিনি আরো বলেন, নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন কার্যকর হয়নি। আংশিক মেরামতের জন্য টাকা বরাদ্ধ হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ, নানান জটিলতার কারনে সেই টাকার কাজ আজও হয়নি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংখ্যা সংকট। ৫টি পদ থাকলো মাত্র ৩ জন শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত আছে। এর মধ্যে জান্নাতুন ফেরদৌস নামে এক শিক্ষিকা দ্বীর্ঘ দিন যাবত অনুপস্থিত রয়েছে। এক মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে গত ৩ মাস ধরে সে অনুপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে। সেই শিক্ষিকা আবার শিশু শ্রেনীর শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল মোবিন বলেন, ৭লাখ টাকা মেরামতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু যেভাবে তারা কাজ করতে চায় তা সঠিক নয় বলে আমরা কাজ করিনি, হয়ত  টাকা ফেরত চলে যাবে। আমি নতুন ভবনের জন্য বহুবার এম,পি সাহেবের নিকট আবেদন করি, কিন্তু নতুন ভবনের বরাদ্দ এ পর্যন্ত পাইনি। শ্রেনী কক্ষ না থাকলে কোমল মতি শিশুরা হতাশ হয়ে পড়বে। এতে করে বিদ্যালয়ের উপস্থিতি হার কমে গিয়ে শিক্ষার মান ব্যহত হবে বলে অভিভাববক রবিউল ইসলাম জানান। নতুন ভবন তৈরীর জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।