নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুরে জন শুমারী লোক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ -ভিডিও সহ

বিশেষ প্রতিনিধি॥ সারা দেশের ন্যায় আগামী ১৭ মার্চ হতে নীলফামারী জেলায় শুরু হতে যাচ্ছে জনশুমারি ও গৃহগণনা। চলবে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারী পর্যন্ত। এই কাজটি করতে সুপারভাইজার ও গননাকারী নিয়োগে নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নীলফামারী পৌর এলাকার আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে অভিযোগ করে জানান গণনকারী ও সুপারভাইজার পদে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৬ জানুয়ারী। যা পেির বৃদ্ধি করা হয় ২১ জানুয়ারী। পৌর এলাকায় আবেদন  করেন ৪৩৪ জন। সে মাফিক সংশ্লিস্টরা আবেদনকারী ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী ৪৩৪জনের নামের  তালিকা নীলফামারী সদর উপজেলার ওপেব সাইডে প্রকাশ করে। পাশাপাশি কত ক্রমিক নম্বর থেকে কবে কখন মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করা হবে তাও সদর উপজেলার ওপেব সাইডে প্রকাশ করা হয়।



গত ২৮ থেকে  ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত নীলফামারী পৌর সভা সহ ১৫ ইউনিয়নের  আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করা হয় সদর উপজেলা পরিষদে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিন ছিল ২ ফেব্রুয়ারী। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৫ ফেব্রুয়ারী। এতে ৪ জানুয়ারীর তারিখ দিয়ে স্বাক্ষর করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আক্তার।
অভিযোগ কারীরা জানায় আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশে ৪৩৪ জনের ক্রমিক নম্বর ছিল। এর বাহিরে আর কোন ক্রমিক নম্বর থাকার কথা নয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশে দেখা যায় গননকারী হিসাবে ১২৪ জনের নামের পরিবর্তে ্ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করে হয়েছে। সেখানে যারা নিয়োগ পেয়েছে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী সেখানে ৪৩৫,৪৩৬ ও ৪৪৭ ক্রমিক নম্বর রয়েছে। যা আবেদনকারী ৪৩৪ এর বাহিরে। অপর দিকে একই ভাবে দেখা যায় সুপারভাইজার পদের নিয়োগে। ফলাফলে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ  করা হয় ১৭ জনকে। এখানেও ক্রমিক নম্বরে নিয়োগ দেখানো হয়েছে ৪৪৪ ও ৪৫৬ ক্রমিক নম্বরে। অভিযোগকারীদের প্রশ্ন আবেদন করেছে ৪৩৪জন। তাহলে  গননাকারী হিসাবে ৪৩৫.৪৩৬ ৪৪৭ ক্রমিক নম্বর  ও সুপারভাইজার পদে ৪৪৪ ও ৪৫৬ ক্রমিক নম্বর কোথায় থেকে এলো। সদর উপজেলার য়েব সাইডে প্রকাশিত নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঘাটলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে  অভিযোগরা মনে করেন। এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 
অপর দিকে সৈয়দপুর উপজেলায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।  প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমঝোতায় অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ক্লার্ক, এনজিও কর্মী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গসহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ও চলমান দায়িত্বরত মেম্বার। আসেনি শিক্ষিত বেকাররা।
অভিযোগ মতে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আনোয়ারুল ইসলাম, হাজারীহাট আলিয়া মাদরাসার অফিস সহকারী আজম ্আলী সরকার, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট শিশু নিকেতনের শিক্ষক মোঃ সাগর ইসলাম ও তার স্ত্রী হাজারীহাট ব্র্যাক অফিসের রিসিপসনিষ্ট আয়েশা সিদ্দিকা, তার বোন সুমনা বেগম  এবং ভগ্নিপতি রোকনুজ্জামান রুবেল। একই ই্উনিয়নের সুতারপাড়া প্রতিবন্ধি ্স্কুলের শিক্ষক নাহিদ ইসলাম চোধুরী সোহাগ, কীট নাশক কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ নুরুল হুদা তার স্ত্রী নাজমিন আক্তার নিয়োগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর এসও মোঃ আতাউর রহমানের ভাগিনা সাগর, ভাগিনি সুমনা, ভাগিনা বউ আয়েশা সিদ্দিকা ও ভাগিনি জামাতা রুবেল। এছাড়াও উপজেলা সমবায় অফিসার ও পরিসংখ্যান অফিসারের সমন্বয়ে একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিতদের অভিযোগ নিয়োগের অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রোল নম্বর উলে¬খ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি প্রার্থীদের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা ্উল্লে¬খ করা হয় তাহলে এধরণের অনিয়মের আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। তারা নতুন করে নাম ঠিকানা সহ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন এবং অভিযোগগুলো তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগকারীরা জানায়,উক্ত জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী থেকে শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি। মন্ত্রী সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে গণনাকারী ও সুপারভাইজারের যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পদ্ধতি নূন্যতম উচ্চমাধ্যমিক স্থানীয় যুবক ও যুব মহিলাদেরকে গণনাকারী ও সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই নিয়োগে সময় সীমা শেষের পরেও গোপনে নিজস্ব লোকের আবেদন নিয়ে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5921635908315011063

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item