পীরগাছায় কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলা, দুশ্চিন্তায় কৃষক

ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর)ঃ
ঘণ কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে রংপুরের পীরগাছায় বোরো বীজতলার চারা গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আসন্ন বোরো চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে পীরগাছা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে সাড়ে ১৬ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই পরিমান জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করতে উপজেলায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ছাওলা, তাম্বুলপুর, কৈকুড়ী, কান্দি ও পীরগাছা সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় গত ক’দিনের বয়ে যাওয়া অব্যাহত ঘণ কুয়াশা এবং শৈত্য প্রবাহের কারণে বোরো বীজতলার চারা গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে।
কৃষকেরা জানান, প্রচণ্ড ঘণ কুয়াশা ও তীব্র শৈত্য প্রবাহের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বোরো বীজতলার চারা(অংকুরিত চারা গাছ) বর্ধন থেমে গেছে। প্রথমে বীজতলার চারা হলুদ ও ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করে পচে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। অল্প দিনের মধ্যে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করতে হবে। এতে বোরো চাষ নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মোংলাকুটি গ্রামের কৃষক মাহবুবার রহমান বলেন, ‘বীজতলায় উচ্চ ফলন শীল জাতের হাইব্রীড ও ব্রি-২৮ জাতের বীজ ফেলেন। কিন্ত ঘণ কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের দাদন আব্দুস ছালাম বলেন, ‘প্রচন্ড ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে ওষুধ প্রয়োগ করেও বীজতলা রক্ষা করা যাচ্ছে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, ‘শীতের হাত থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে বীজতলার চারা গাছে আটকে থাকা কুয়াশার পানি রশি দিয়ে টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে রাতের বেলা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।’

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5900300088481910119

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item