কেবিনেট নির্বাচন থেকে বঞ্চিত নীলফামারীর দুবাছুড়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ সরকারি নিদের্শ উপক্ষো করে সিলেকশনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠন করায় নির্বাচন থেকে বঞ্চিত নীলফামারীর দুবাছুড়ি দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার(২৫ জানুয়ারি/২০২০) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশের মতো নীলফামারী জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও দুবাছুড়ি দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়নি।
এতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের নেতৃত্ব নির্বাচনসহ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সামিল হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকরাও।
বেলা ১২টার দিকে ওই মাদ্রাসায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কক্ষ গুলোতে অন্যান্য দিনের মতোই চলছে পাঠ্যদান কার্যক্রম।
স্টুডেন্টদের মধ্যে নেই কোন নির্বাচনী আমেজ।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ জানুয়ারী শ্রেণি কক্ষে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয় ২৫ জানুয়ারী আমাদের স্টুডেন্টদের কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নোটিশে আরো জানানো হয় ১৪ জানুয়ারী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও ১৬ জানুয়ারী মনোনয়ন জমা দানের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। অথচো নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন না করায় আমরা কেউ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা।
ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঝর্না আক্তার বলেন, আজ আমাদের স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন হওয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল। অথচো নির্বাচন কমিশন গঠন না করায় আমরা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অপর শিক্ষার্থী সালমা আক্তার বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের প্রতিষ্ঠানেও প্রতিবছর স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠানে বিগত তিন বছর আগে মাত্র একবার নির্বাচন হয়েছে। এর পর আর নির্বাচন হয়নি।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সবুজ ইসলাম বলেন, দুই সপ্তাহ আগে শ্রেণী কক্ষে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল ২৫ জানুয়ারী স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হবে। এর পর আর কোন কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা কিছুই করা হয়নি।
একই শ্রেনির শিক্ষার্থী সম্রাট হোসেন বলেন, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ নির্বাচনী আমেজ বইছে। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট দিচ্ছে। অথচো আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার ছিটেফোটাও নেই। হাবিব সরকার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের আয়োজন না করায় আমি প্রার্থী হতে পারলাম না। এমনকি অন্যারাও বঞ্চিত হয়েছে ভোট প্রয়োগ এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে রয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠন করতে হবে। কোন প্রকার সিলেকশনে কেবিনট গঠন করা যাবে না। অথচো প্রতিষ্ঠানের সুপার এম.এ মোমেন সরকারের সকল নিদের্শনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  নির্বাচন কমিশন গঠন ছাড়াই নির্বাচনের আগেই গত ২১ জানুয়ারী সিলেকশনের মাধ্যমে একটি কেবিনেট গঠন করে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে জমা দিয়েছেন।
সিলেকশন কেবিনেট জমার বিষয়টি স্বীকার করে দুবাছুড়ি দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার এম.এ মোমেন বলেন, সরকারি কোন নিদের্শনা আমি পায়নি। তবে গত ২১ জানুয়ারী উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের নিদের্শে একটি সিলেকশন কমিটি জমা দিয়েছি। তবে আপনারা (সাংবাদিক) চাইলে আমি এখনই নির্বাচনের আয়োজন করতে পারি।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর ঐ প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। আজ (শনিবার) যেহেতু শনিবার তাই আগামীকাল (রবিবার-২৬ জানুয়ারি/২০২০) আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। #

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2417317115450062560

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item