কিশোরগঞ্জে চা চাষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়  সরকারী খাস( পতিত) জমি ও ব্যাক্তি মালিকানায় গড়ে উঠেছে অস্যংখ্য চা বাগান। বর্তমানে চোখ জুড়িয়ে যায় সবুজের সমারোহ এ চা বাগানগুলো দেখে।  চা চাষে সরকারী উদ্যোগ ও নজরদারী এ অঞ্চলের  মঙ্গা নামের কলঙ্কমোচনে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।  এই এলাকায় কৃষিতে চায়ের চাষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে  ব্যাপক সহায়ক ভুমিকা রাখছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২২ এক পতিত জমি ছিল। এ জমি ব্যবহারের লক্ষে ২০১৫ সালে পঞ্চগড় চা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে  তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান  পুর্ণবাসিত ভিক্ষুক - দারিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে  প্রাথমিকভাবে এক একর জমিতে প্রায় ৭ হাজার চা চারা গাছ রোপন করে। অল্প দিনের মধ্যে সেই চা চাষে সাফল্য পাওয়ার পর  উপজেলা পরিষদের প্রায় ৫ একর জমিতে এবং ব্যাক্তি মালিকানায় সিনহা কোম্পানী তাদের  ৩২ বিঘা জমিতে চা চাষ শুরু করে। এছাড়াও মাগুড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের এক বিঘা জমি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের ১৫ শতক জমিতে চা চাষ করা হয়।
সবমিলিয়ে প্রায় ২০ একর জমিতে এখন চা চাষ হচ্ছে।  আর এসব চা বাগানে প্রতিদিন গড়ে প্রায়  ৪০ থেকে ৫০ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।  ফলে  ওই পরিবারগুলোতে লেগেছে উন্নয়নের ছোয়া।
চা বাগানে কর্মরত পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ি গ্রামের পুর্ণবাসিত ভিক্ষুক  ফাতেমা বেগম বলেন, উপজেলা পরিষদের চা বাগানে ৩০ টাকা ঘন্টা দরে কাজ করে প্রতিদিন ২ শ থেকে আড়াইশ টাকা আয় করছি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের নর্দান বাংলাদেশ প্রজেক্টের  কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত  প্রকল্প প্রকৌশলী আবু হেনা ময়নুল ইসলাম জানান, চা চাষের জন্য এ এলাকার মাটি খুবই উপযোগী । পাহারী অঞ্চলে যেখানে ৩ বছরে পাতা উত্তোলন শুর হয়, সেখানে এ এলাকায় দেড় বছরে পাতা উত্তোলন হচ্ছে।  চলতি বছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরো এক লাখ চারা বিতরন ও রোপন করার টার্গেট নেয়া হয়েছে।  উপজেলা পরিষদে সরকারীভাবে চা নার্সারী তৈরীর কাজ চলছে।  এছাড়াও ২০২০ সালের মধ্যে নীলফামারী জেলায় ২৫ হেক্টর জমি চা চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চা একটি অর্থনৈতিক ফসল।  এ অঞ্চলের ভুমি সমতল হওয়ার কারনে চায়ের চাষ কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোয়ার উম্মোচন করছে। তুলনামুলকভাবে চা চাষে পরিচর্যা কম এবং আয় বেশি পাশাপাশি রোগ বালাইয়ের আক্রমন কম হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,  চা চাষের ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে  আনুমানিক ৫০ জন ভিক্ষুকের পাশাপাশি শতাধিক অসহায় দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া তামাক চাষের বিকল্প হিসাবে সরকারীভাবে চা চাষের জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3182172152550366750

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item