ডোমারে অসহায় ছলেমানের মানবেতর জীবন যাপন! দেখার কেউ নেই।
https://www.obolokon24.com/2020/01/domar_26.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে অসহায় এক ব্যক্তি ছলেমানের মানবেতর জীবন যাপন করতে দেখা গেছে! যেন দেখার কেউ নেই।
এমন করুন দৃশ্যটি চোখে পড়ে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ডোমার চিলাহাটি সড়ক সংলগ্ন বাগডোকরা মিস্ত্রিপাড়া ভালের কুড়া নামক ব্রীজের পার্শ্বে ছলেমানের ভাঙ্গাচুড়া ঘড়টি দেখে। কথা হয় অসহায় ছলেমানের সাথে, করুণ কন্ঠে অশ্রুভেজা জল মুছে বলেন, আমি বোধহয় এ দেশের মানুষ না, আমার চেয়ে রোহিঙ্গারা অনেক ভাল আছে।
জানা যায়, এলাকার মৃত সমাজ উদ্দিনের ছেলে ছলেমান (৭০) নিঃসস্তানের বোঝা নিয়ে স্ত্রী অরুনা বেগমকে সঙ্গী করে কাটছিল তার জীবন। সেই স্ত্রীও গত ৩বছর পূর্বে তাকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। ১শতক জমির উপড়ে ছোট একটা এক চালা টিন দিয়ে প্লাষ্টিকের বেড়া লাগিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সেখানে কাটছে তার জীবন। কেউ সাথে না থাকায় নিঃস্ব জীবনে পরাজিত সৈনিক হয়ে প্লাষ্টিকের বেড়া নষ্ট হয়ে খোলা অবস্থায় প্রচন্ড শীতে অতি কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে সে। সুস্থ থাকাকালীন গ্রামে গঞ্জে ফেরী করে জীবন চলতো তার। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট রোগে কাতর হয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবেশীরা মাঝে মধ্যে একটু খাবার দিলে খেয়ে থাকে, বেশীর ভাগ সময় অনাহারে থাকতে হয় তাকে। ৭০ বছর বয়সেও ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের আর কতো বয়স ও অসহায় হলে বয়স্কভাতাসহ সরকারী সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে? এ বিষয়ে বোড়াগাড়ী ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য হাচানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সে আমার ইউনিয়নের লোক নয়, জোড়াবাড়ীতে তার ভোট আছে কিন্তু বর্তমানে আমার এলাকায় আছে। সহযোগিতার আস্বাস দেন তিনি। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন অসহায় ছলেমান।
নীলফামারীর ডোমারে অসহায় এক ব্যক্তি ছলেমানের মানবেতর জীবন যাপন করতে দেখা গেছে! যেন দেখার কেউ নেই।
এমন করুন দৃশ্যটি চোখে পড়ে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ডোমার চিলাহাটি সড়ক সংলগ্ন বাগডোকরা মিস্ত্রিপাড়া ভালের কুড়া নামক ব্রীজের পার্শ্বে ছলেমানের ভাঙ্গাচুড়া ঘড়টি দেখে। কথা হয় অসহায় ছলেমানের সাথে, করুণ কন্ঠে অশ্রুভেজা জল মুছে বলেন, আমি বোধহয় এ দেশের মানুষ না, আমার চেয়ে রোহিঙ্গারা অনেক ভাল আছে।
জানা যায়, এলাকার মৃত সমাজ উদ্দিনের ছেলে ছলেমান (৭০) নিঃসস্তানের বোঝা নিয়ে স্ত্রী অরুনা বেগমকে সঙ্গী করে কাটছিল তার জীবন। সেই স্ত্রীও গত ৩বছর পূর্বে তাকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। ১শতক জমির উপড়ে ছোট একটা এক চালা টিন দিয়ে প্লাষ্টিকের বেড়া লাগিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সেখানে কাটছে তার জীবন। কেউ সাথে না থাকায় নিঃস্ব জীবনে পরাজিত সৈনিক হয়ে প্লাষ্টিকের বেড়া নষ্ট হয়ে খোলা অবস্থায় প্রচন্ড শীতে অতি কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে সে। সুস্থ থাকাকালীন গ্রামে গঞ্জে ফেরী করে জীবন চলতো তার। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট রোগে কাতর হয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবেশীরা মাঝে মধ্যে একটু খাবার দিলে খেয়ে থাকে, বেশীর ভাগ সময় অনাহারে থাকতে হয় তাকে। ৭০ বছর বয়সেও ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের আর কতো বয়স ও অসহায় হলে বয়স্কভাতাসহ সরকারী সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে? এ বিষয়ে বোড়াগাড়ী ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য হাচানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সে আমার ইউনিয়নের লোক নয়, জোড়াবাড়ীতে তার ভোট আছে কিন্তু বর্তমানে আমার এলাকায় আছে। সহযোগিতার আস্বাস দেন তিনি। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন অসহায় ছলেমান।