আজ পীরগাছা হানাদার মুক্ত দিবস
https://www.obolokon24.com/2019/12/rangpur_11.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)
আজ ১১ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগাছা উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশ ছাড়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে পীরগাছা হানাদারমুক্ত হয়। প্রতিবছর এ দিনটি ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
পীরগাছা উপজেলা পাকিস্তানি হানাদারের শক্ত ঘাঁটি ছিল। পাকিস্তানি সেনা, মিলিশিয়া বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মিলিতভাবে মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ নির্বিচার হত্যাকা- চালায়।
৬ ডিসেম্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পীরগাছা থানাকে শক্রমুক্ত করার জন্য এর চারপাশে অবস্থান নেয়। ওই দিন বিকালে মুক্তিযোদ্ধারা চৌধুরাণী হাই স্কুল মাঠে অবস্থান নিলে পাক হানাদার বাহিনী সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ চালায়। ডিনামাইড দিয়ে চৌধুরাণী রেল স্টেশনটি উড়িয়ে দেয় ও আশ-পাশের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাকবাহিনী পিছু হটে রংপুর যাওয়ার যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় লোহার ব্রিজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থানরত অপর একটি মুক্তিযোদ্ধা দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় আব্দুল মজিত নামের এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকবাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হন।
অবশেষে ১১ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা পীরগাছা থানা ঘেরাও করলে অবস্থা বেগতিক দেখে রাজাকার আলবদরসহ ১৭ জন পাকসেনা আতœসর্মপণ করেন এবং ওই দিন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এভাবে পীরগাছা উপজেলা শক্রমুক্ত হয়। এদিকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে ভবেশ চন্দ্র বর্মণ, আবু বক্কর সিদ্দিক, ওমর আলী সরকার, আব্দুল মজিদ, মোসলেম উদ্দিন ও নজির হোসেনসহ আরো অনেক নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ শহীদ হন। দিবসটি পালনে আজ বুধবার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আজ ১১ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগাছা উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশ ছাড়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে পীরগাছা হানাদারমুক্ত হয়। প্রতিবছর এ দিনটি ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
পীরগাছা উপজেলা পাকিস্তানি হানাদারের শক্ত ঘাঁটি ছিল। পাকিস্তানি সেনা, মিলিশিয়া বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মিলিতভাবে মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ নির্বিচার হত্যাকা- চালায়।
৬ ডিসেম্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পীরগাছা থানাকে শক্রমুক্ত করার জন্য এর চারপাশে অবস্থান নেয়। ওই দিন বিকালে মুক্তিযোদ্ধারা চৌধুরাণী হাই স্কুল মাঠে অবস্থান নিলে পাক হানাদার বাহিনী সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ চালায়। ডিনামাইড দিয়ে চৌধুরাণী রেল স্টেশনটি উড়িয়ে দেয় ও আশ-পাশের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাকবাহিনী পিছু হটে রংপুর যাওয়ার যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় লোহার ব্রিজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থানরত অপর একটি মুক্তিযোদ্ধা দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় আব্দুল মজিত নামের এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকবাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হন।
অবশেষে ১১ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা পীরগাছা থানা ঘেরাও করলে অবস্থা বেগতিক দেখে রাজাকার আলবদরসহ ১৭ জন পাকসেনা আতœসর্মপণ করেন এবং ওই দিন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এভাবে পীরগাছা উপজেলা শক্রমুক্ত হয়। এদিকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে ভবেশ চন্দ্র বর্মণ, আবু বক্কর সিদ্দিক, ওমর আলী সরকার, আব্দুল মজিদ, মোসলেম উদ্দিন ও নজির হোসেনসহ আরো অনেক নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ শহীদ হন। দিবসটি পালনে আজ বুধবার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।