ব্যাপকভাবে অভিযোগ পেলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার হবে’

অনলাইন ডেস্ক
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেলে গত রবিবার প্রকাশিত ওই তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ‘দুই-একশ’ নামে ভুল হলে সংশোধন করা হবে।
তবে ওই ভুলের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায় অস্বীকার করে মন্ত্রী বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তালিকা হুবহু তারা প্রকাশ করেছেন, কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

 আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এখনো এই তালিকা সংশোধন করা সম্ভব। কে করতে পারে সঠিকভাবে? ওই সময়কার লোকেরা। তাই তাদের জীবিত অবস্থায় প্রকাশ পাওয়ায় আমি মনে করি, তারা আহত হলেও, কষ্ট পেলেও একটা সংশোধন হওয়ার সুযোগ হয়েছে। যদি এটা ৩০ বছর পর প্রকাশ হতো; তাহলে সংশোধন হওয়ার সুযোগ থাকত না।
কিছু ভুলের অভিযোগ এলেও রাজাকারের ওই তালিকা বিতর্কিত হয়নি বলেও মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, অভিযোগ যেহেতু এসেছে... বিতর্কিত হয়ে গেল- এটা বলা যাবে না। এটা দেখতে হবে সংখ্যাটা কতজন? আমার মনে হয়,আমি যতটুকু খবর পাচ্ছি;বরিশাল বিভাগ সম্পর্কেই অভিযোগগুলো পাচ্ছি।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,  ‘আমরা স্বীকার করব না যে আমরা করেছি। এই তালিকা আগেই করে রেখে গেছে। সেখানে কোনো ইল মোটিভ থাকতে পারে। উদ্দেশ্যমূলক... ভাই, যেভাবে আসছে, আমি তো বললাম, আমরা এটায় এডিট করি নাই। আমরা এখানে দাড়ি, কমা, সেমিকোলন যেভাবে এসেছে; সেটা প্রকাশ করেছি।’
এক সাংবাদিক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ ভুলের জন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন।
ক্ষমা চাইবেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখ প্রকাশ করার অর্থ যদি আপনি না বোঝেন আমি কী এটা করেছি? এটা যদি আপনি চ্যালেঞ্জ করেন, তা হলে এসে দেখে যান রেকর্ড। আমরা অতন্ত বিনয়ের সঙ্গে যেটা বলছি, সেখানেই থাকেন। তালিকা আমরা তৈরি করিনি। জাতির দাবি ছিল, তাই প্রকাশ করেছি। আমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করিনি।’
দুঃখ প্রকাশ করা আর ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে ‘কোনো পার্থক্য নেই’ মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই কাজ না করেও দায়দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’
প্রসঙ্গত গত রবিবার দুপুরে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকা প্রকাশের পর রাজশাহী, বরিশাল, বগুড়া ও বরগুনাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযোগ আসে যে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সহযোগীদের নাম উঠেছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 474120124453915292

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item