মহান বিজয় দিবসকে তোয়াক্কা না করার অভিযোগ নীলফামারীর নয়ানখাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের !

বিশেষ প্রতিনিধি॥ আসছে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে পাকি সেনাদের পরাজিত হরে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। এসেছে সোনার বাংলা।
বিজয়ের ৪৮ বছরে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন।
সারাদেশের সমস্ত সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতষ্ঠান ও কলকারখানা বন্ধ থাকে। সেই সঙ্গে দিনভর মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হয়।
মহান বিজয় দিবসের দিনটিতে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের অবস্থিত নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ বছর পূর্তির কর্মসুচি ঘোষনা করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি। এজন্য তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ঘিরে বিভিন্নস্থানে আমন্ত্রন পত্র বিলি করেছে। মজার বিষয় যারাই এই আমন্ত্রন পত্র হাতে পেয়েছেন তারাই চোখ কপালে তুলেছেন। বিষয়টি তারা গণমাধ্যমের দৃস্টিতে আনেন। অনেকে মন্তব্য করে বলেন মহান বিজয় দিবসের দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তির কর্মসুচি একদিন পিছিয়ে দিতে পারতেন। কারন মহান বিজয় দিবসের কর্মসুচির চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কোন দিন বড় হতে পারেনা। এ ক্ষেত্রে আয়োজকরা মহান বিজয় দিবসকে অবমাননা করার সামিল হয়েছে। তারা মহান বিজয় দিবসকে তোয়াক্কা না করে মহান বিজয় দিবসকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছেন।
মজার বিষয় আমন্ত্রপত্র ছাপানো হয়েছে দুই ধরনের। দুই ধরনের আমন্ত্রপত্র একই ফর্মায় থাকলেও শুধু দুই কার্ডে দুইজন প্রধান অতিথির নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
একটি আমন্ত্রন পত্রে দেখা যায় প্রধান অতিথি নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। অপর কার্ডে প্রধান অতিথি নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন রাখা হয়েছে মহান বিজয় দিবসের দিন সকাল সাড়ে ৯টায়। প্রশ্ন উঠেছে দুই কার্ডের দুই জন প্রধান অতিথি কি উদ্ধোধন করবেন। আমন্ত্রন পাওয়া বাক্তিরা জানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা মহান বিজয় দিবসকে তোয়াক্কা না করে অবমাননা করতে পারে। আমরা মহান বিজয় দিবসের কর্মসুচিতেই থাকবো। আমন্ত্রনপত্র প্রাপ্তরাও প্রশ্ন করেছে প্রধান অতিথি ছকে যাদের নাম ছাপানো হয়েছে তারা কি জানেন এ ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় নয়ালখাল উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৮ সালে। যার ব্যাজ নম্বর ১২২৬। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় কলেজ। কলেজের ব্যাজ নম্বর ৬৭২৬। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম করা হয় নয়ানখাল স্কুল এন্ড কলেজ। ৫০ বছর পূর্তি হলে স্কুলের হবে কলেজের নয়। এখানে সংশ্লিষ্টরা একটা মারপ্যাচের খেলা খেলছে যেন।

এ ব্যাপারে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান ম্যানেজিং কমিটি সব করেছে আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। #

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4060993131706172088

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item