আপডেট-পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় পার্বতীপুরে সাড়ে ৩ বছরের শিশু নিহত,গ্রেপ্তার ২

এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ 
পার্বতীপুরে আমজাদ হোসেন (১৯) নামে এক বখাটে যুবকের পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় আবিদা সুলতানা মীম নামে সাড়ে ৩ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। গত শনিবার পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মধ্য ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিম ওই গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের (২৪) মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে গত শনিবার রাত ১১টায় ধর্ষকসহ তিনজনকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত) ২০০৩ আইনের ৯ (২)/৩০ তৎসহ দঃবিঃ ২০১ ধারায় পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্য দুই আসামী হলেন, ধর্ষকের চাচা শাহিনুর আলম (৫০) ও দাদী মমিনা বেওয়া (৫৫)। এদের দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার দুপুরে আদালতে মাধ্যমে তাদেরকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দর রহিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় ।সোমবার আসামীদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে দিনাজপুর আমলী আদালত-৫ এ আবেদন জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পার্বতীপুর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত সোহেল রানা জানান, গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে মীমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর পরিবারের লোকজন বিকেল ৫টা থেকে এলাকায় মাইকিং শুরু করে। মাইকিং চলাকালে নিহতের প্রতিবেশি ধর্ষক আমজাদ হোসেনও অংশ নেয়। এ সময় মীমের খেলার সাথী জিয়াদ (৫) জানায়, মীমকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে আমজাদ ডেকে নিয়ে গেছে। এ কথা শুনে এলাকার ক্ষুব্ধ মানুষ একজোট হয়ে আমজাদের বাড়ীতে গেলে তার বাড়ীর মুল দরজা বন্ধ পায়। পরে দরজা খোলার জন্য অনেক ডাকাডাকি করলে আমজাদ হোসেন ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয়। এসময় উৎসুক জনতা বাড়ীর ভেতরে ঢুকে চারিদিকে খোজাখুজি করার সময় একটি ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। তারা আমজাদকে ওই ঘর খুলে দেয়ার জন্য বললে সে জানায় ঘরের চাবি তার দাদীর কাছে আছে। পরে চাবি আনার কথা বলে সে পালিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে পুলিশের উপস্থিতে ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে টেবিলের নীচ থেকে শিশু মীমের রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ আলম মিয়া বলেন, শিশুটির গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত ছিল। ধর্ষনের কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। নিহতের মা নাসরিন নাহার জানান, মীম আমার একমাত্র সন্তান। যে অমানুষ আমার মেয়েকে নষ্ট করেছে, খুন করেছে আমি তার ফাঁসি চাই। শিশু মীম ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে ধর্ষকের চাচা শাহিনুর আলম (৫০) ও রবিবার সকালে তার দাদী মমিনা বেওয়া (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক ধর্ষক আমজাদকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, শনিবার রাতে শিশু মীম ধর্ষন ও হত্যার ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ও পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান। তারা নিহত মীমের শোকসন্তপ্ত বাবা-মাকে শান্তনা ও সুবিচারের আশ্বাস দেন।

পুরোনো সংবাদ

নির্বাচিত 867078102645362479

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item