নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে হাঁড় কাঁপানো শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা
https://www.obolokon24.com/2019/12/cold_20.html
শামীম হোসেন বাবূ কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ পৌষের শুরুতেই হিমালয়ের পাদদেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। গত তিনদিন থেকে সুর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষজন। হাড় কাঁপানো শীতে ¯'বির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষরা।
শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে এসব মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে।
এমনিভাবে শীত নিবারন করতে গিয়ে গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে নীলফামারী জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা এলাকার ডাঙ্গাপাড়ার একরামুল হকের শিশু কন্যা ইতিমনি আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।এদিকে তীব্র শীতে দুই দিনে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৭৯ জন রোগি চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ জন শিশুসহ ১০৭ জন ক্লোড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এবং বাকীগুলো শ্বাষকষ্টের রোগি।
নীলফামারী সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বম্মন জানান, আগুনে দগ্ধ শিশুটিকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শীতজনিত রোগির সংখ্যা বাড়ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা এস এ আহাদ বলেন, জেলার ছয়টি উপজেলায় ৩৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। আরও শীত বস্ত্রের জন্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে সব থেকে বেকায়দায়। তারা বলছে হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। হাত পা কুকড়ে যাচ্ছে। চলতে পারছিনা। গ্রামে গ্রামে দেখা যায় ছোট ছোট শিশু সহ বয়স্কো নারী পুরুষরা খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে।