সৈয়দপুরে তাঁরকাটা কারখানার শ্রমিক সোহেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
https://www.obolokon24.com/2019/11/saipur.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাঁরকাটা কারখানার শ্রমিক মুহাম্মদ সোহেল হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।আজ (শনিবার) শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন করা হয় এলাকাবাসীর ব্যানারে।
দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে বেলা ১ টা পর্যন্ত মানববন্ধন চলে। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা সোহেল হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির দাবি সম্বলিত লেখা শ্লোগান প্লাকার্ড ও ব্যানার বহন করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন।
এতে নিহত সোহেলের বাবা মো. সাইদুল ইসলাম ও মা মোছা. সামা এবং সোহেলের স্ত্রী মোছা. ছানা তাঁর দেড় বছরের শিশু সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে নিহত সোহেলের বাবা মো. সাইদুল অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দপুর থানা পুলিশ সোহেল হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে তেমন কোন তৎপরতা দেখাচ্ছেন না। এ মামলার এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারা তাঁকেসহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে করে তিনি ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে আমি বার বার থানা পুলিশের কাছে ধর্ণা দিচ্ছি। কিন্তু আমি গবীর মানুষ হওয়ার সৈয়দপুর থানা পুলিশ আমার কথায় কোন কর্ণপাত করছেন না। তিনি তাঁর ছেলে সোহেল হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর শহরের পুরাতন বাবুপাড়ার মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে মুহাম্মদ সোহেলকে (২৫)। তাঁর চুরি যাওয়া বাইসাইকেল খুঁজতে গিয়ে শহরের খেঁজুরবাগ মুন্সিপাড়ার কয়েকজন বখাটে যুবক তাকে বেদম মারপিট করেন। এতে সে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোওে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেন। এর পর পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় এক আসামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন। তবে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে সৈয়দপুর থানা পুলিশের তেমন তৎপরতা নেই বলে বাদীর অভিযোগে জানা গেছে।