রোহিঙ্গারা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গারা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ বলতে পারবে না যে, কারো সঙ্গে আমাদের বৈরিতা আছে।
আমরা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি (সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়) মেনে এবং অনুসরণ করে যাচ্ছি। এমনকি মিয়ানমার যে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে আমাদের দেশে পাঠিয়েছে তাদের সঙ্গেও আমাদের ঝগড়া নেই।
আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তোলা। তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্বকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান। শান্তি ও নিরাপত্তা ছাড়া কোনো দেশই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারে না।
বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধলে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান। সারা বিশে^ বাংলাদেশ দেশজ উৎপাদনে ৩০তম হয়েছে। এ স্বীকৃতি আমরা ধরে রাখতে চাই। আমাদের সরকার ২০২১ ও ২০৪১ এ দুটি রূপকল্প হাতে নিয়েছে। আমরা এমডিজি বাস্তবান করে এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করছি। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে দরিদ্রতা ছিল ৪১ শতাংশ এখন সেটি এসে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশে। আমরা এ অবস্থার আরও উন্নতি করার জন্য কাজ করছি। আমরা ৮ম পঞ্চবার্ষিকী প্রণয়নে কাজ করছি। আমাদের সরকার শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বিনামূলে বই দেওয়া হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যেও গুরুত্ব দিয়েছি। ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র করেছি। এখান থেকে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এতে মা ও শিশুরা উপকার পাচ্ছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে এর প্রভাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা প্রতিটি প্রজেক্ট যখন হাতে নিই তখন পরিবেশের দিকে বিশেষ যতœ দিয়ে থাকি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য অন্যদের কারণে আমরা সবসময়ই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছি। আপনারা দেখেছেন দুদিন আগেও আমাদের বিশাল ঝড় আক্রমণ করতে এসেছিল। তবে আমরা এখন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে যথেষ্ট সক্ষম। আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় এই ঝড়ে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। আমরা কাজ করব এ অঞ্চলের জন্য। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নতির জন্য। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বিবেচনায় বর্তমান শতক হবে ‘এশিয়ার শতক’।’
আমাদের এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় শত্রু দারিদ্র্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করলে অবশ্যই দারিদ্র্যকে জয় করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। সে কারণেই আমাদের এক হয়ে কাজ করা দরকার। যাতে করে এ অঞ্চলের মানুষের সুখ শান্তি অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পারি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে এ ডায়ালগের আয়োজন করছে।
আয়োজনটি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মানব উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।
এতে এ অঞ্চলের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশ্বের ৫০টি দেশ থেকে প্রায় ১৫০ বিশিষ্ট ব্যক্তি এ সংলাপে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ আয়োজন চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6664620362340934463

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item