পীরগাছায় মাঠে সামিয়ানা দিয়ে তৈরি করা কক্ষে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থী

ফজলুর রহমান, পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অস্থায়ী প্যান্ডেলের ভেতরে কক্ষ তৈরী করে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে বসে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। রাতের কুয়াশায় ভিজে যাওয়া বেঞ্চে বসা ও পরীক্ষার খাতা রাখায় শিশুরা বিড়ম্বনায় পড়ছে।
আবার রোদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

সরেজমিনে কেন্দ্র্র ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠেই তৈরি করা হয়েছে একটি প্যান্ডেল। উপরে শামিয়ানা টানানো হয়েছে। ভেতরে টিন দিয়ে বানানো হয়েছে কক্ষ। আবার বিদ্যালয়ের সাইকেল গ্যারেজটিতেও উপরে শামিয়ানা ব্যবহার করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব টিকেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘এবার তাঁদের বিদ্যালয়ে স্থাপিত কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৬শ ৯৩ জন। প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষের তুলনায় পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ডেকোরেটরের সাহায্যে বিদ্যালয়ের মাঠে প্যান্ডেল করে অস্থায়ীভাবে কক্ষ করে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। এই অস্থায়ী কক্ষে অন্তত শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।’
কাশিয়া বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অস্থায়ী কক্ষে পরিদর্শক আব্দুর রউফ বলেন, ‘শামিয়ানা দিয়ে তৈরি ছাদ আর চারিদিক ঘেরা এই অস্থায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে সূর্যের তাপে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আমরাও ভীষণ অস্বস্তিতে আছি।’
অস্থায়ী কক্ষের পরীক্ষার্থী নয়ন বলেন, ‘টিন দিয়ে ঘেরা এসব কক্ষের উপড়ে ছাদ না থাকায় রাতে কুয়াশায় বেঞ্চ ভিজে থাকে। সকালে পরীক্ষা শুরুর সময় এসব ভেজা বেঞ্চে খাতা রাখলেই ভিজে যায়। আর পরীক্ষা শুরুর পর বেলা যত বাড়ে সূর্যের তাপও তত বাড়ে।’
ঘগোয়া গ্রামের বাসিন্দা কলেজছাত্র শাহানত হোসেনের ছোট ভাই পরীক্ষা দিচ্ছে এই কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘সকালে ভাইকে নিয়ে এসে মাঠে প্যান্ডেল দেখে মনে হয়েছিল, এখানে বুঝি কোন অনুষ্ঠান হবে। পরে দেখি পরীক্ষা হচ্ছে।
পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থী আশা আক্তার, নূর আলম মিয়াসহ আরো অনেক শিক্ষার্থী জানায়, ‘প্যান্ডেলের ভেতরে পরীক্ষা দিতে কেমন একটা অস্বস্তি লাগে তাদের। এছাড়া সকালে কুয়াশা থাকে। তখন ঠা-া লাগে, আবার দুপুরের রোদ মাথায় ধরে।’
পীরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সুজা মিয়া বলেন, ‘কেন্দ্রটিতে শ্রেণিকক্ষের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8755423046757119834

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item