স্কুল ছাত্রী ময়না দেবনাথের হত্যাকারীকে চিহিৃত করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৯ নভেস্বর॥ নীলফামারী জেলা সদরের গোড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ময়না দেবনাথকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সহস্রাধীক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আজ মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টা হতে ঘন্টাকালব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ সড়কে। গোড়গ্রাম এলাকার ছাত্র/ছাত্রী ও এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিশেষ করে ওই এলাকার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে গোড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, সানরাইজ কিন্ডার গার্ডেন, গ্লাসী কিন্ডার গার্ডেন ও গোড়গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধীক শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হত্যার শিকার ময়না দেবনাথের বাবা আবুল দেবনাথ,মা মালতী দেবনাথ, ময়নার বড় দিদি মিনতী দেবনাথ। ময়নাদের বাড়ি ওই ইউনিয়নের যুগীপাড়া গ্রামে।
মানববন্ধন চলাকালিন সমাবেশে প্রতিবাদকারীরা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের চিহিৃত করে গ্রেফতার ও ফাঁসীর দাবি জানান। তাঁরা বলেন, যে মেয়েটি এবার জেএসসি পরীক্ষা দেবার কথা ছিল তাকে পরীক্ষার আগের দিন রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয়। অথচ পুলিশ এ পর্যন্ত কোন আসামীকে চিহিৃত করতে পারেনি।
মানববন্ধন চলাকালিন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম, গোড়গ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তরিকুল ইসলাম গোলাপ ও অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়,  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ আলী খান, ছাত্রী নিশিতা আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধন বন্ধনে অংশ নেয়া ময়নার বাবা ও মা উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন তার মেয়েকে ইটভাটির শ্রমিক মিজানুর (২৫) হত্যা করতে পারে বলে তাদের সন্দেহ।
উল্লেখ চলতি বছরের ২ নবেম্বর ছিল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) জেএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। ময়না দেবনাথ গোড়গ্রাম স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী হিসাে পরীক্ষার্থী ছিল। পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যা হতে মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরীক্ষা দিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় যুগীপাড়া এলাকার ইট ভাটার পাশের একটি ডোবার পানি থেকে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম মোমিন জানান, লাশের ময়না তদন্ত ঘটনার দিনই করা হয়। এ পর্যন্ত ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়া যায়নি। এটি হত্যা না আতœহত্যা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন আমরা ইটভাটির শ্রমিক মিজানুরের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। সে চার মাস আগে ইটভাটির কাজ ছেড়ে চলে গেছে। তার বাড়ি দিনাজপুরের রানীবন্দরে। আমরা তাকেও খুঁজছি ।
অপর দিকে সদর আধুনিক হাসপাতাল সুত্র মতে, ময়নার লাশের ময়না তদন্তের ভিসেরা রির্পোটের জন্য ঢাকার মহাখালিতে প্রেরন করা হয় যথা সময়ে। এখনও সে রির্পোট হাতে এসে না পৌছায় আমরা পুলিশকে কোন রির্পোট দেয়া সম্ভব হয়নি। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8259483976807660084

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item