কিশোরগঞ্জে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালের নতুন ভবন
https://www.obolokon24.com/2019/11/kisargang_7.html
নষ্ট হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকার সম্পত্তি
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারী হাসপাতালটিতে জনবল ও চিকিৎসক সংকটের কারণে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত সম্প্রসারন ভবনটি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।উদ্ধোধনের ৬ বছর অতিবাহিত হলেও ভবনটি চালু করতে না পারায় মরিচা ধরে ও পানি চুইয়ে ভবনের সৌদর্য নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ভবনের দুই তলা ও তিনতলার অপারেশন থিয়েটার(অটির) লাখ লাখ টাকার সরকারী সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে।
এতে করে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা অন্যদিকে বেড সংকটে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা।
কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করার জন্য ২০১১-১২ অর্থবছরে একটি তিনতলা ভবন নির্মান করে সরকার। গত ২০১৩ সালের ২৯ শে জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি নতুন ভবনটি উদ্ধোধন করে যান। উদ্ধোধনের ৬ বছর পেড়িয়ে গেলেও ভবনটি চালু করেতে পারছেনা কর্তপক্ষ। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে ২৯ টি ডাক্তারের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন। হাসপাতালটিতে তৃতীয় শ্রেনীর ৪৩ টি কর্মচারীর পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৩৫ জন। এবং চতৃর্থ শ্রেনীর ৩০ টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৭ জন।
গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালটিতে দেখা গেছে, ৩১ শয্যার সবকটি বেড রোগীতে পরিপুর্ণ। বেড ছাড়াও মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন রোগী। এসময় কয়েকজন রোগী ও তার স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা গরীব মানুষ বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামথ্য আমাদের নাই। তাই বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবাহুল হাসান চৌধুরী , রোগীদের সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন ৩১ শয়্যার হাসপাতালটিতে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি থাকে। অতিরিক্ত রোগী বারান্দায় মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নেয়। নতুন ভবনটি চালু করা গেলে রোগীদের সমস্যার সমাধান করা যেত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলে নতুন ভবনটি চালু করার চেষ্টা করব।