কিশোরগঞ্জে ঝঁকিপুর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় জরাজীর্ণ ও পুরাতন ভবনে চলছে সোনালী ব্যাংক শাখার কার্যক্রম। ভবনটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক রুম না থাকার কারনে গাদাগাদি করে  এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ফলে ব্যাংকের হাজার হাজার গ্রাহকের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করার জন্য শাখাটি অন্যত্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ব্যাংক গ্রাহকরা।
সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখা সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে এক হাজার ছয়শ আশি বর্গফুট ভবনের নিচে স্বল্প পরিসরে সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংটিকে একজন শাখা ব্যাবস্থাপক, তিনজন সিনিয়র অফিসার, একজন প্রিন্সিপাল অফিসার, ৬ জন অফিসার, একজন জুনিয়র অফিসার ও একজন খন্ডকালিন পিয়নসহ মোট ১৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। ব্যাংটিতে উপজেলা পরিষদের ১৭টি দপ্তরের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট, উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ৮০০০ ভাতাভোগীর ভাতা প্রদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্নানী ভাতা প্রদান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর টাকা জমা ও ব্যাংকের ২০ হাজার গ্রাহকসহ হাজার হাজার মানুষের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় ব্যাংক কর্তপক্ষকে। ফলে ব্যাংকের শাখাটি উপজেলা পরিষদের কাছাকাছি দুরুত্বে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে নতুন ভবনে স্থানান্তারের দাবি এলাকাবাসীর।
কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার আবদুল্লাহিল বাকী বলেন, এলাকাবাসী ও ব্যাংক গ্রাহকদের দাবির প্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব প্রকৌশলী সুকান্ত কুমার ভবনটি পরিদর্শন পুর্বক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসাবে উল্লেখ করার কারনে ব্যাংটিকে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশ্বে নির্মিত নতুন ভবন হানিফ প্লাজায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ ব্যাংকের শাখাটি অন্যত্র স্থাপনের সুপারিশ করেছেন। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যাংকের শাখাটি অন্যত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করছেন।
সোনালী ব্যাংক শাখার গ্রাহক ও বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী ফরহাদ হোসেন সম্্রাট, এমপি প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম স্বপন, জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সোনালি ব্যাংকের শাখাটি পুরাতন ও ঝঁকিপুণ হওয়ার কারনে গ্রাহকরা সঠিক সেবা  পাচ্ছেনা। তাছাড়া শাখাটি উপজেলা পরিষদ থেকে অনেক দুরে।পরিষদের মাঝামাঝি স্থানে শাখাটি স্থানান্তর হলে গ্রাহকের অনেক সুবিধা হবে।  ।
সোনালী ব্যাংক শাখার নীলফামারী জেলার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম আব্দুস সুলতানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমান ব্যাংকের ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ার কারনে এবং গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য  কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের পাশ্বে অবস্থিত একটি নতুন ভবনে ব্যাংকের শাখাটি স্তানান্তরের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বোর্ড অনুমোদন দিলে শাখা পরিবর্তন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3673526025319650077

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item