ফুলবাড়ীতে মন্দির পরিচালনা নিয়ে দুই গ্রামবাসী দ্বন্দ

মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মন্দিরের জায়গাসহ মন্দির পরিচালনা নিয়ে  দুই গ্রামবাসীর দ্বন্দ। উপজেলা প্রশাসন ও পুজা উদযাপন কমিটি দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সমঝোতা করলেও সিদ্ধান্ত না মানায়, হরিবাশর উৎযাপন করতে হচ্ছে বাড়ীর খলায়। এদিকে এক গ্রামের হরিবাশর উৎযাপনে অপর গ্রামের বাসীন্দারা বাধা দেয়ায়, দুই গ্রামের বাসীন্দাদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় শনিবার রাতেই থানার পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উভায় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলা শিবনগর ইউনিয়নের চককবীর গ্রামে।
গ্রামবাসীদের নিকট জানা গেছে, চককবীর গ্রামের বারোয়ারী মন্দিরের জায়গা ও মন্দির পরিচালনার নিয়ন্ত্রন নিয়ে চককবীর উত্তরপাড়া ও চককবীর দক্ষিনপাড়া গ্রামবাসীদের মধ্যে দির্ঘদিন থেকে এই বিরোধ চলে আসছে। দুই গ্রামবাসীর বিরোধের কারনে গত দুর্গাপুজা বন্ধ ছিল ওই মন্দিরে। গত শনিবার রাত থেকে ওই মন্দিরে দক্ষিপাড়ার বাসীন্দারা হরিবাশর উদযাপন করতে গেলে, সেখানে বাধাঁ দেয়, উত্তর পাড়া গ্রামের বাসীন্দারা। উত্তর পাড়া গ্রামের বাসীন্দাদের বাধাঁর মুখে মন্দির কমিটির সভাপতি বুলু চন্দ্রর খলায় হরিবাশর উদযাপন করতে বাধ্য হয় দক্ষিন পাড়ার বাসীন্দারা। এতে করে উভায় গ্রামবাসীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চককবীর দক্ষিন পাড়া গ্রামের বাবলা চন্দ্র সরকার বলেন, চককবীর দক্ষিন পাড়ায় বসবাসরত ৬৫টি পরিবার সমর্থন দিয়ে মন্দির পরিচালনার জন্য চককবীর দক্ষিন পাড়ার বুলু চন্দ্র সরকারকে সভাপতি ও উত্তম কুমার সরারকে সাধারন সম্পাদক করে মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই কমিটিকে চ্যালেঞ্চকরে উত্তর পাড়ার ৪২টি পরিবার বাবলু চন্দ্রকে সভাপতি ও দুলাল চন্দ্রকে সাধারন সম্পাদক করে আরও একটি মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করে। এতে চককবীর হিন্দুপাড়া ভেঙ্গে উত্তর পাড়া ও দক্ষিনপাড়া বিভক্ত হয়ে পড়ে।
দক্ষিনপাড়া গ্রামের মন্দির কমিটির সভাপতি বুলু চন্দ্র সরকার বলেন, অধিকাংশ পরিবার সমর্থন দিয়ে তাকে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, কিন্তু বাবলু চন্দ্র  গ্রামবাসীর মতামতকে তোয়াক্কা না করে, গায়ের জোরে ওই গ্রামে থাকা তিনটি মন্দির, বারোয়ারী মন্দির, কলি মন্দির ও দুর্গা মন্দির দখল করে নেয়। এই কারনে গ্রামবাসীরা পুজা উদযাপন করতে পারছেনা।ক্ষিনপাড়া মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, হরিবাশর উদযাপনের জন্য গত এক সপ্তাহ পুর্বে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি, একটি সমঝোতা করে দিয়েছিল, কিন্তু উত্তর পাড়ার বাসীন্দারা তাদের সেই সমঝোতা অমান্য করে তাদের হরিবাশর উদযাপনের বাধাঁ সৃষ্টি করেছে।
অপরদিকে উত্তরপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি বাবলু চন্দ্র বলেন, এই মন্দির গুলো উত্তর পাড়ার বাসীন্দাদের নিজেস্ব্য জমি,  কিন্তু দক্ষিন পাড়ার বাসীন্দারা জোর পুর্বক ব্যবহার করতে চায়, এই জন্য তারা তাদের মন্দির গুলো নিজ দখলে রেখেছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ধীমান চন্দ্র সরকার বলেন, উভায গ্রামবাসীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে একটি সমজোতা কমিটি গঠন করা হলেও, কোন পক্ষই সেই সমজোতা রক্ষা করে নাই, এই কারনে তাদের সমজোতা করা সম্ভাব হয়নি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী বলেন, একই ধর্মের অনুসারী ও একই গ্রামের বাসীন্দারা দুই ভাগে ভাগ হযে যাওয়ায়, তাদের সমজোতাকরা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন তারা দির্ঘদিন থেকে এই ভাবে বিরোধ করে আসচ্ছে, এই কারনে তাদের আপোষ করতেও সময় লাগছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ওসি ফকরুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রামবাসীদের মাঝে যেন কোন প্রকার অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারনে ওই এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 3250599856812484123

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item