দাদাগিরিতে' ভূতের আবির্ভাব, আদালতে বিজ্ঞানকর্মীরা

 ডেস্ক



ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দাদাগিরি।
তাতে অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কারমূলক ভাবনার প্রচার করা হয়েছে। এ অভিযোগে আদালতে দ্বারস্থ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চ।


মঞ্চের দাবি, প্যারা নরমাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভূতের অস্তিত্বের পক্ষে বিজ্ঞানবিরোধী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তার প্রচার করা হয়েছে। এ ধরনের প্রোগ্রামের তীব্র নিন্দা করা উচিত।

বিজ্ঞানমঞ্চ মনে করে, অলৌকিক ধ্যান-ধারণার সম্প্রচারকারী অনুষ্ঠানটি ভারতীয় সংবিধানের ৫১-এ (এইচ) ধারার পরিপন্থী। এটি ম্যাজিক রেমিডিস অ্যান্ড অবজেকশনেবল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট অ্যাক্ট সরাসরি লঙ্ঘন করেছে।

সে কারণে এ ঘরানার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চ। পাশাপাশি এ রকম কুসংস্কার প্রচারে বিশ্বাস না করে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ইতিমধ্যে কুসংস্কারপূর্ণ চিন্তাভাবনার প্রচার-প্রসার, বিজ্ঞাপন ও ব্যবসার বিরুদ্ধে এ রাজ্যের জন্য একটি সুসংহত আইন প্রণয়নের দাবিতে মামলা করেছে মঞ্চ।

সম্প্রতি দাদাগিরির এক পর্বে এক নারী প্রতিযোগী দাবি করেন, তিনি প্যারা-নরমাল ইনভেস্টিগেটর। কয়েকজন সদস্য মিলে ভূতের অস্তিত্বের সন্ধান করেন তারা। সেই প্রসঙ্গে কার্শিয়াঙের ডাওহিলের আরেকটি ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ওই নারী।

ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ নেন সৌরভ গাঙ্গুলীও। এ ক্ষেত্রে ওই নারী প্রতিযোগীর দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্টও।

ঘটনার পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ বিষয়টি নিয়ে সরব হন। এতে যুক্তিবাদী ভাবনায় আঘাত লাগতে পারে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। সৌরভের মতো একজন রোল মডেল কী করে এমন ভাবনাকে ইন্ধন দিচ্ছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেন কেউ কেউ।

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 7790117658507716843

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item