দুর্গা পুজায় যানজট নিরসনে সৈয়দপুরে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় সুভার স্বেচ্ছাসেবকরা

বিশেষ প্রতিনিধি॥ শান্তিপুর্ণভাবে  শারদীয় দুর্গাপুজা উদযাপনে মানুষের নির্বিঘেœ চলাচলে যানজট নিরসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের সুভার স্বেচ্ছাসেবকরা।
সৈয়দপর শহরের সবচেয় বড় পুজা মন্ডপ বসে ব্যস্ততম সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কে সিটি ট্রেডার্সে ও শহীদ তুলশীলাম সড়কের নোয়াতে। শহরের প্রধান ও ব্যস্ততম সড়কের পাশে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন হওয়ায় সেখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ফলে গত ৫,৬ ও ৭ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপুজার মহাসপ্তমী হতে নবমী পর্যন্ত ৩ দিন ওই পুজা মন্ডপের সামনে স্বেচ্ছাশ্রমে যানজট নিরসনে অংশ নেয় সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলেন্টিয়ার্স এসোসিয়েশন ‘সুভা’র সদস্যরা।
শহরের ওই দুই ব্যস্ততম পয়েন্টে সুভার সদস্যরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘেœ তাদের পুজা অর্চনা করতে পারে সে জন্য সার্বিক সহযোগিতা করছে। গায়ে সুভার ড্রেস পড়ে কেউ যানবাহন চলাচলে সঠিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, কেউ যানবাহনগুলোকে লাইন করে দিচ্ছে, কেউ বয়স্কদের রাস্তা পারাপারে সহায়তা করছে। আবার কেউ গেটে দাড়িয়ে সার্বিক নিরাপত্তার থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করছে। এভাবে রাস্তায় সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে সুভার সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চালকরা বিভিন্ন যানবাহন বিশৃঙ্খলভাবে গ্যারেজ করার চেষ্টা করলেই বাধা দিচ্ছেন তারা। এছাড়াও ওই পুজা মন্ডপের বিভিন্ন দোকানের সামনে সিএনজি, ভ্যান, রিক্সা প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে বোঝাচ্ছে। একই সাথে আগত যাত্রীরা যাতে নির্বিঘেœ পরিদর্শন ও রাস্তা পারাপার করতে পারে সেজন্য এক একজন সদস্য তাদের পারাপারে সহায়তা করছে।
সুভার সদস্য সুলতান, সাজু, আরিফ, হিরা জানান, সৈয়দপুর পৌর শহরের এই দুই পয়েন্ট খুবই ব্যস্ততম পয়েন্ট। আর পুজার সময় এখানকার ব্যস্ততা যেনো দ্বিগুন হয়ে ওঠে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘেœ তাদের পুজা অর্চনা করতে পারে তাই আমরা স্বেচ্ছায় ওই দুই পয়েন্টে গত তিন থেকে যানজট নিরসনে ও সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করেছি যাতে যানজটের কারনে আগতদের ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
সুভার অপর সদস্য নওশাদ আনসারী, আলমগীর, রফিক, সোহেল, ফয়সাল জানান, প্রতিবছর পুজার সময় এখানে যানজট বেড়ে যায়। তাই এবারই প্রথম আমরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সুভার ১৬  জন সদস্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে যানজট নিরসনে কাজ করেছি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আমরা স্বেচ্ছায় সেখানে শ্রম দেয়।
তাদের এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জনাব পরিমল কুমার সরকার।
শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদযাপনে স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসা এসব যুবকদের কাজে খুশি সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও। সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশিল সমাজও।
সৈয়দপুর পুজা উদযাপন কমিটির সদস্য সুশিল কুমার দাস জানান, এবারও প্রথম দেখলাম কেউ স্বেচ্ছায় আমাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। তারা কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তাদের সহযোগিতায় পুজার সামনে যেমন যানজট নিরসন হয়েছে ঠিক তেমনি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘেœ পুজাও করতে পেরেছে। সম্প্রীতির এই বন্ধন দেখে শিক্ষা নেয় যেনো সবাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার সরকার বলেন, সুভার এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। তারা সম্প্রীতির উদাহারন। কাজকর্ম ও পড়ালেখার পাশাপাশি মানুষ ও মানবতার কল্যাণে এ ধরনের কাজ তাদের সামাজিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে ও বিবেকবান মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। উপজেলা প্রশাসন তাদের এই মহতী কাজে সব সময় পাশে আছে বলে জানান তিনি। #

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 6868831711806131475

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item