৭০ বছরের বৃদ্ধাকে থাপ্পর মারার অভিযোগ সৈয়দপুর থানার ওসি বিরুদ্ধে
https://www.obolokon24.com/2019/10/saidpur49.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারীর) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মামলার বাদীকে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা। শুধু তাই- নয়, বাদীর ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের গালেও চড়-ধাপ্পর মেরে তাকে লাঞ্ছিত করেন ওসি।
সেই সঙ্গে ওই ওসি মামলার বাদীর বাড়িতে ঢুকে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি চরম ঔদ্ধুদ্ধপূর্ণ আচরণ এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দুই আসামীকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। গত শনিবার রাতে শহরের গোলাহাটের ঘোড়াঘাট এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সস্মেলনের ওই অভিযোগ করেন স্ত্রী হত্যার চেষ্টার মামলার বাদী সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের ঘোড়াঘাট এলাকার তাঁর নিজ বাড়িতে স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। একই এলাকার মো. মুন্নার ছেলে রাজা এবং মৃত. সাগিরের ছেলে জীবন ওই ঘটনাটি ঘটায়। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যা চেষ্টার শিকার গৃহবধূর স্বামী সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর সাবেক প্যানেল মেয়র মো. হিটলার চৌধুরী ভলু তাঁর আহত স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) নিয়ে যখন হাসপাতালে দৌঁড়ঝাঁপ করছিলেন, ঠিক সেই সময় সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে এনে ৬/৭ ঘন্টা কালক্ষেপণ করেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে স্ত্রী হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করতে চাইলে প্রথমে সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে মামলার বাদী করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে অনেক দেনদরবারের পর তিনি বাদী হয়ে তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টাকারী রাজা ও জীবনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাদী হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন, মামলার পর থেকে আসামীদের গ্রেপ্তারে তেমন কোন তৎপরত দেখায়নি পুলিশ। তিনি কয়েক দফা থানার ওসি’র সঙ্গে সাক্ষাত করে আসামী গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাগাদা দেন। কিন্তু সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা বলেন আসামীরা পাশের দেশ ভারতে পালিয়ে গেছে। তাঁর এ কথায় আশ্বস্ত না হয়ে তিনি নিজেই আসামীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের মধ্যে তাদের অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হন। এরপর আসামীদের পরিবার ও স্বজনদের মাধ্যমে গত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের সৈয়দপুরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে আসামীদের থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক এ সময় সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বাদী হিটলার চৌধুরী ভলুর বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় মামলার বাদী ভলু সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি আসামীদের পুলিশের হাতে তুলে দিবেন বলে জানান ওসি শাহ্জাহান পাশাকে। এতে তিনি বাদীর ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে বাদীর বাড়িতে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। এ সময় হিটলার চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ সদ্যস্যের তুমুল বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওসি পাশা বাদী ভলুকে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। এ ছাড়াও বাদীর বৃদ্ধা মা ফাতেমা বেগম চৌধুরীর দুই গালে চড়ধাপ্পর মারেন। এতে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাটিতে লুটয়ে পড়েন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি। হিটলার চৌধুরীর আরো অভিযোগ করেন, থানার ওসি একটি পক্ষের হয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে তাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঔদ্ধুদ্ধপূর্ণ আচরণ ও আসামীদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার জন্য ওসিকে অভিযুক্ত করে তাঁর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি তাঁর স্ত্রীকে হতা চেষ্টার মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ওসি শাহজাহান পাশার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে হিটলার চৌধুরী ভলুর মা মোছা. ফাতেমা বেগম চৌধুরী, স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপি ও পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে কথা হলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা বলেন, মামলার বাদী হিটলার চৌধুরী আসামীদের তাঁর বাড়িতে এনেছেন খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে যাই। এ সময় মামলার বাদী আসামীদের পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে উল্টো পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। পবরর্তীতে তিনি (ভলু) দুই আসামীসহ বাড়ি থেকে কৌশলে সটকে পড়েন। ফলে সেখান থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,বাদীকে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ববং তারাই পুলিশ সদস্যদের হেনস্থা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের ঘোড়াঘাট এলাকার বাড়িতে সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরীর স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মামলার বাদীকে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা। শুধু তাই- নয়, বাদীর ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের গালেও চড়-ধাপ্পর মেরে তাকে লাঞ্ছিত করেন ওসি।
সেই সঙ্গে ওই ওসি মামলার বাদীর বাড়িতে ঢুকে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি চরম ঔদ্ধুদ্ধপূর্ণ আচরণ এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দুই আসামীকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। গত শনিবার রাতে শহরের গোলাহাটের ঘোড়াঘাট এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সস্মেলনের ওই অভিযোগ করেন স্ত্রী হত্যার চেষ্টার মামলার বাদী সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের ঘোড়াঘাট এলাকার তাঁর নিজ বাড়িতে স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। একই এলাকার মো. মুন্নার ছেলে রাজা এবং মৃত. সাগিরের ছেলে জীবন ওই ঘটনাটি ঘটায়। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যা চেষ্টার শিকার গৃহবধূর স্বামী সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর সাবেক প্যানেল মেয়র মো. হিটলার চৌধুরী ভলু তাঁর আহত স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) নিয়ে যখন হাসপাতালে দৌঁড়ঝাঁপ করছিলেন, ঠিক সেই সময় সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে এনে ৬/৭ ঘন্টা কালক্ষেপণ করেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে স্ত্রী হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করতে চাইলে প্রথমে সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে মামলার বাদী করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে অনেক দেনদরবারের পর তিনি বাদী হয়ে তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টাকারী রাজা ও জীবনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাদী হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন, মামলার পর থেকে আসামীদের গ্রেপ্তারে তেমন কোন তৎপরত দেখায়নি পুলিশ। তিনি কয়েক দফা থানার ওসি’র সঙ্গে সাক্ষাত করে আসামী গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাগাদা দেন। কিন্তু সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা বলেন আসামীরা পাশের দেশ ভারতে পালিয়ে গেছে। তাঁর এ কথায় আশ্বস্ত না হয়ে তিনি নিজেই আসামীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের মধ্যে তাদের অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হন। এরপর আসামীদের পরিবার ও স্বজনদের মাধ্যমে গত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের সৈয়দপুরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে আসামীদের থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক এ সময় সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বাদী হিটলার চৌধুরী ভলুর বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় মামলার বাদী ভলু সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি আসামীদের পুলিশের হাতে তুলে দিবেন বলে জানান ওসি শাহ্জাহান পাশাকে। এতে তিনি বাদীর ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে বাদীর বাড়িতে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। এ সময় হিটলার চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ সদ্যস্যের তুমুল বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওসি পাশা বাদী ভলুকে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। এ ছাড়াও বাদীর বৃদ্ধা মা ফাতেমা বেগম চৌধুরীর দুই গালে চড়ধাপ্পর মারেন। এতে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাটিতে লুটয়ে পড়েন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি। হিটলার চৌধুরীর আরো অভিযোগ করেন, থানার ওসি একটি পক্ষের হয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে তাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঔদ্ধুদ্ধপূর্ণ আচরণ ও আসামীদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার জন্য ওসিকে অভিযুক্ত করে তাঁর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি তাঁর স্ত্রীকে হতা চেষ্টার মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ওসি শাহজাহান পাশার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে হিটলার চৌধুরী ভলুর মা মোছা. ফাতেমা বেগম চৌধুরী, স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপি ও পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে কথা হলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা বলেন, মামলার বাদী হিটলার চৌধুরী আসামীদের তাঁর বাড়িতে এনেছেন খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে যাই। এ সময় মামলার বাদী আসামীদের পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে উল্টো পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। পবরর্তীতে তিনি (ভলু) দুই আসামীসহ বাড়ি থেকে কৌশলে সটকে পড়েন। ফলে সেখান থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,বাদীকে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ববং তারাই পুলিশ সদস্যদের হেনস্থা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের ঘোড়াঘাট এলাকার বাড়িতে সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরীর স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।