পাগলাপীরের রতিরামপুর দূর্গা মন্দিরে “মহালয়” প্রদর্শিত

হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ যথাযোগ্য মর্যাদায়-ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়ে ও উৎসব মূখর পরিবেশে প্রদর্শিত হচ্ছে রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর হরিদেবপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রতিরামপুর পশ্চিম হিন্দুপাড়ায় সুবিশাল দূর্গা মন্দিরে “মহালয়”। এ উপলক্ষ্যে  মঙ্গলবার দূর্গোৎসবের মহা বিজয় দশমীর  রাত ৮টায় অত্র দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলী নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের শত শত ভক্ত শ্রোতাদের সমবেতর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এক শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় সভা।
এতে প্রধান অতিথী ছিলেন, অত্র হরিদেবপুর ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, বিশেষ অতিথী চন্দনপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আমিনুর রহমান ও তার সহ-ধর্মীনি মোছাঃ  জান্নতুল ফেরদৌস দিনা (দিনা আমিনুর)। রতিরামপুর পশ্চিম হিন্দুপাড়া দূর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রী দিনেশ রায়ের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক শ্রী নিমাই মহন্তের সঞ্চালনায় উক্ত মহালয় প্রদর্শিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আমন্ত্রিত অতিথী ইউপি সদস্য মোঃ শওকত হোসেন যাদু মিয়া, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, ইউপি সদস্য মোঃ চাঁন মিয়া সহ স্থানীয় বিশিষ্টজনরা। প্রদর্শিত মহালয় অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় প্রধান অতিথী অত্র হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই ভ্রাতিত্ব মূলক সু-সম্পর্ক হিন্দু-মুসলমান সহ সকল জাতির মধ্যে শত শত যুগ ধরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে এবং পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার থাকায় দেশের সনাতন হিন্দু ধর্মাবলীরা তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গা পূজা আনন্দঘন ও উৎসব মূখর পরিবেশে উদ্যাপন করেছেন। এজন্য তিনি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ভালবাসেন, ভালবাসেন রংপুরকে, ফলে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার কারণে ভিশন একুশ বাস্তবায়নের পূর্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ের রূপান্তরিত হয়েছে এবং আর কিছুদিন গেলে বাংলাদেশ হবে একটি ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত উন্নত রাষ্ট্র। তাই প্রধানমন্ত্রীর ছোঁয়ায় রংপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় হরিদেবপুর ইউনিয়নেও এগিয়ে চলছে। আমার চেয়ারম্যানী দায়িত্বের সাড়ে ৪ বছরে হরিদেবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা ঘাট আরসিসি করণ, বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, কালভার্ট, ব্রিজ ও হাট-বাজারের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যে কারণে সাধারণ মানুষজনকে রাস্তাঘাটে চলার সময় আর স্যান্ডেল-জুতা নিতে হয় না। ইউনিয়নের জনগণ নির্বিঘেœ রাস্তাঘাটে চলতে পারে এজন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, রাস্তার মোড়ে সোলার ল্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। জনগন  যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেজন্য কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ইউনিয়নের কোন অসহায় হত-দরিদ্র পরিবারকে আর কর্মহীন এবং অনাহারে থাকতে না হয় সেজন্য ভিজিটি, ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প  সহ নানা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে তাদেরকে পূণর্বাসন করা হচ্ছে। এছাড়াও ইউনিয়নের পাগলাপীরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলা মডেল জামে মসজিদ এর নির্মাণ কাজ জোড়েসোড়ে চলছে এবং বঙ্গবন্ধু নব থিয়েটর ও বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় নামে ২টি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত রয়েছে। তাই হরিদেবপুর ইউনিয়নের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিপ্লব ঘটাতে ও হরিদেবপুর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেব বাস্তবায়নক করতে আমার পিতার (মরহুম বদিউজ্জামান জামাল-সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও হরিদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান) ন্যায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন তাহলে ইনশাল্লাহ্ আর বেশী দিন নয় অল্প কিছু দিনের মধ্যে হরিদেবপুর ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়েন পরিণত করতে সম্ভব হবে। উল্লেখ্য উক্ত দূর্গা মন্দিরের দূর্গোৎসবের বিজয় দশমীর পরেও সপ্তাহ ধরে চলবে মহালয় প্রদর্শন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5786967647823978472

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item