নীলফামারীতে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ॥ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার। গত এক সপ্তাহ ধরে নীলফামারীর বিভিন্ন হাটবাজারে  প্রকার ভেদে ৭০ ও ৮০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। কিন্তু সেই পেঁয়াজ  বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছে যা অবস্থা এতে দাম আরো বাড়বে। বড় বাজারের আড়তদার শাহানুর হোসেন বলেন, এখানে কোন মজুদদার নেই। পেঁয়াজ আসে তাহেরপুর, কুষ্টিয়া ও হিলি থেকে। যেখান থেকে আসছে সেখানেই দাম বেশি তাই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পেঁয়াজের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা অনেকে বলেছেন, বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে তাদের মাথায় হাত। সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রশাসনের নজরদারিতে পেঁয়াজের বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন তাও নেই।
কাঁচা ব্যবসায়ী নাসিম শেখ জানান, মোকামে পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থা চললে কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরো বেড়ে যাবে। তিনি বললেন মোকাবে পেঁয়াজ সংকটের খবরে রাতারাতি বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে গিয়ে দেখা যায়,ভারতীয় পেঁয়াজ অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতো দেখতে। রয়েছে  মিয়ানমারের পেঁয়াজও । প্রকার ভেদে ছোট ও বড় সাইজ পেঁয়াজে কেজিতে ১০ টাকা কম বেশী। বাজার ঘুরে দেখা গেল, অন্য সময়ের চেয়ে বাজারে পেঁয়াজের বিক্রেতা অনেক কম। অন্যদিকে ক্রেতারা সংখ্যায় অনেক বেশি।পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুর জব্বার নামে এক ক্রেতা জানালেন, দাম আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় ৫ কেজি পেঁয়াজ ৫০০ টাকায় কিনতে হলো।
এদিকে রাতারাতি এত দাম বেড়েছে কেন জানতে চাইলে বাজারের পাইকারি এক বিক্রেতা বলেন, তারা বুধবার  দুপুরের পরও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৮০ টাকায়। মোকাম থেকে পেঁয়াজ না আসায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ অনেক কমে গেছে। কুষ্টিয়া ও তাহেরপুর ও হিলি থেকে পেঁয়াজ আসেনি। ইনসান আলী নামের এক বিক্রেতা জানান, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কাড়াকাড়ি। অনেক কষ্টে ১০০ কেজি কিনতে পেরেছেন। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4747579963290905800

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item