জলঢাকায় বুড়ি তিস্তা নদীতে বোমা মেশিনের খাদে পড়ে দুই শিশু নিহত
https://www.obolokon24.com/2019/10/jaldhaka_27.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বুড়ি তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বোমা মেশিনের খাদে পড়ে দুই শিশু কণ্যা নিহত হয়েছে।শনিবার(২৬ অক্টেবর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের গোপালঝাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে বোমা মেশিনের মালিক মজিদুল সহ বালু উত্তোলনের শ্রমিকরা। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টির পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত শিশুরা হলো গোপালঝাড় চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে সিতু(৬) ও একই গ্রামের মোাররফ হোসেনের মেয়ে মীম(৭)। তারা দুইজনেরই উক্ত গ্রামের বসরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, মজিদুল নামের এক বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বুড়ি তিস্তা নদীতে বোমা মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে নদীর ধারে সহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খাদ বা গর্তের সৃস্টি হয়।
ঘটনার দিন ওই দুই শিশু বালু উত্তোলনের মেশিনের ধারে নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় সিতু মেয়েটি বালু উত্তোলনে গর্তে পড়ে যায়। যা দেখতে পেয়ে মীম মেয়েটি তাকে উদ্ধার করার চেস্টা করলে সেও ওই খাদে পড়ে যায়। এ সময় নদীতে অন্যান্য শিশুরা এটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বালু উত্তোলনের শ্রমিকরা ওই গর্ত হতে শিশু দুইজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃস্টি হলে বালু উত্তোলনের মালিক ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়।
ওই এলাকার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি আমরা ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কাছে অবগত করে বিচারদাবি করেছি। শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রাণজিৎ রায় পলাশ বলেন দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সকল সরঞ্জামাদি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছি। #
এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে বোমা মেশিনের মালিক মজিদুল সহ বালু উত্তোলনের শ্রমিকরা। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টির পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত শিশুরা হলো গোপালঝাড় চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে সিতু(৬) ও একই গ্রামের মোাররফ হোসেনের মেয়ে মীম(৭)। তারা দুইজনেরই উক্ত গ্রামের বসরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, মজিদুল নামের এক বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বুড়ি তিস্তা নদীতে বোমা মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে নদীর ধারে সহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খাদ বা গর্তের সৃস্টি হয়।
ঘটনার দিন ওই দুই শিশু বালু উত্তোলনের মেশিনের ধারে নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় সিতু মেয়েটি বালু উত্তোলনে গর্তে পড়ে যায়। যা দেখতে পেয়ে মীম মেয়েটি তাকে উদ্ধার করার চেস্টা করলে সেও ওই খাদে পড়ে যায়। এ সময় নদীতে অন্যান্য শিশুরা এটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বালু উত্তোলনের শ্রমিকরা ওই গর্ত হতে শিশু দুইজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃস্টি হলে বালু উত্তোলনের মালিক ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়।
ওই এলাকার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি আমরা ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কাছে অবগত করে বিচারদাবি করেছি। শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রাণজিৎ রায় পলাশ বলেন দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সকল সরঞ্জামাদি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছি। #