ডোমারে মাদ্রাসায় গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তে সত্যতা মিলেছে

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি) ,স্টাফ রিপোর্টারঃ ডোমারে মাদ্রাসায় সরকারী বিধি না মেনে গাছ কাটা ও গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে ।
উপজেলা মাধ্যমিক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে,  বেসরকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের নিজস্ব জায়গায় অবস্থিত ঝড়ে পড়া বা কোন কারণে পুরনো গাছ কাটার প্রয়োজন হলে ,সে গাছ কাটা ও নিলামে বিক্রয় করার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সভাপতি,শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি সদস্য,সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান সদস্য সচিব হয়ে কমিটি করার নিয়ম রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টান প্রধানের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা গাছ কাটা ও নিলামে বিক্রয় কমিটির সভাপতি সভা আহবান করে গাছ কাটার প্রয়োজনীতা যাচাই করে গাছ কাটার সিন্ধান্ত দিবেন ।শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ও বন বিভাগের কর্মকর্তার মূল্যায়ন প্রতিবেদন সংগ্রহ করে গাছ পরিমাপপূর্বক  গাছের বাজার মূল্য নির্ধারন করবেন ও গাছ  বিক্রির সিডিউল তৈরী করবেন ।প্রকাশ্যে নিলামে বা টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করবেন ।বিক্রয়লব্ধ টাকা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টানের একাউন্টে (তহবিলে) জমা প্রদান করবেন ।গাছ কাটা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মাদ্রাসা হলে বাংলাদেশ মাদ্রাসা  শিক্ষা বোর্ড এ প্রেরন করবেন ।কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোন নিয়ম মানা হয়নি ।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ী মাহমুদিয়া দ্বি- মুখী আলীম মাদ্রাসায় সম্প্রতি সরকারী বিধি না মেনেই ৮টি (আট) গাছ কেটে বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ও সভাপতি খায়রুল ইসলাম।এর মধ্যে চারটি কাঠাঁল , দুইটি মেহগনি,দুইটি ইউক্যালিপটাস গাছ ।যার মুল্য আনুমানিক  এক লক্ষ টাকা ।সম্প্রতি এ নিয়ে ডোমার উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান।
শেওটগাড়ী মাহমুদিয়া দ্বি- মুখী আলীম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান জানান,গাছগুলি ১৯৮৫ সালে লাগানো হয়েছিল ।কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে ও আমাদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই গাছ কাটে ।প্রায় ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে তা পকেস্থ করে ।নতুন বিল্ডিং হচ্ছে ,সে জন্য তিনটি গাছ কাটলেই হত ।এ সুযোগে তারা পাচঁটি অতিরিক্ত গাছ কাটে,তা বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে তারা ।
এ ব্যাপারে ডোমার রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবর রহমান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি ইউএনও মহোদয়ের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে ।তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে ।
ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম জানান, অধিকাংশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টান গাছ কাটা ও নিলামে বিক্রয় করার এ পরিপত্র মানছে না ।ম্যানেজিং কমিটির সিন্ধান্তকেই তারা গুরুত্ব দিচ্ছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা জানান, যে অভিযোগ দেওয়া  হয়েছে ,তদন্তে তার মোটামুটি সত্যতা পাওয়া গেছে ।আইনগত ব্যস্থা নেওয়া হবে ।
এ ব্যাপারে শেওটগাড়ী মাহমুদিয়া দ্বি- মুখী আলীম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খায়রুল ইসলাম বলেন,সব নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়েছে,পরে আবার বলেন,প্রশাসনকে জানানো হয়েছে,পরে গাছ কাটার সরকারী বিধি জানালে বলেন,আপনি সুপারকে মোবাইল করেন ।আমি কিছু জানি না ।
অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার জানান,আমরা রেজুলেশন করে গাছ কেটেছি ।গাছ কাটলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয় না ।ম্যানেজিং কমিটি যা করবে সেটাই ঠিক ।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7248853305587739573

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item