ডিমলায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নদী খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : আমাদের দেশ নদী মাতৃক বাংলাদেশ, কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশ, গ্রাম কেন্দ্রীক বাংলাদেশ, প্রকৃতিগত সমন্বীত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই কেবলমাত্র ভিশন-২১ পুরোপুরী অর্জিত হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যবহৃত নদীর পরিমান ছয় হাজার (৬,০০০) কিলোমিটার এর মত।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র স্বপ্ন পুরনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সমগ্র দেশে স্থায়ী নদী খননের কাজ ডেল্টাপ্লানে বাস্তবায়ন করা কথা ভাবছেন। আর সেই কাজের সেচ্ছায় সহযোগীতা ও নদী খননের উদ্দ্যোগ নিয়েছেন উত্তর বঙ্গের কৃতি সন্তান ১৯৭১ সালের বীর সেনানী সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার এফএফ ৬১/৩৩, ৬ নং সেক্টর আলহ্াজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী। তিনি জানান, উজান থেকে বয়ে আসা নদনদী সমূহ প্রধান নদীতে মিলিত হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনার ডেল্টাপ্লান এখান থেকে এ কাজের শুরু হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডেল্টাপ্লান কাজের শুভ-সূচনা হবে। ওই নদীর পরিমান প্রায় সাত হাজার (৭,০০০) কিলোমিটার সর্বমোট আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশেম ভূ-খন্ডের মধ্যেই তের হাজার (১৩,০০০০) কিলোমিটার প্রাকৃকভাবে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে পরে আছে। কেবল মাত্র সঠিকভাবে নদী খনন,নদী শাষন, স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলেই নদী গর্ভ হইতে প্রায় দশ হাজার (১০,০০০) কিলোমিটার বিস্তৃর্ন এলাকা ফসলী জমি এবং বসবাসের স্থায়ী আবাসে পরিনত হবে। সেই সঙ্গে সদী ভাঙ্গা ভিটাবাড়ী অসহায় জনগোষ্ঠী ফিরে পাবে স্থায়ী নিরাপদভাবে জীবন বাঁচার ঠিকানা। এই চিন্তা চেতনা বুকে আগলে ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেশের উজান থেকে বয়ে আসা নদী সমূহের মধ্যে ত্রিশ (৩০ কিলোমিটার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নদী খনন, নদী শাসন এবং স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা অনুমতি প্রার্থনা করে আসছেন। এতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে অসহায় হতদরিদ্র দিনমুজুর খেটে খাওয়া মানুষজন প্রায় দুই হাজার (২,০০০) শ্রমিক হিসেবে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। উপরোক্ত বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা করে দেখা যায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজটি করলেও এ থেকে সরকারের কোষাগারে জমা হবে প্রায় পচিশ কোটি (২৫,০০০০০০) টাকা। স্থানীয় মেশিন পত্র স্থাপনের ব্যায় পচিশ কোটি (২৫,০০০০০০) টাকা, শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ব্যায় পচিশ কোটি (২৫,০০০০০০) টাকা এবং দুই তীরে  বাঁধের জন্য স্লাপ তৈরী ও স্থায়ী নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে পচিশ কোটি (২৫,০০০০০০) টাকা। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্পৃক্ত করে প্রকল্পের কাজের অনুমতি প্রদান করলে স্থানীয় পর্যায়ে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণজনবল এবং খনন কাজের জন্য ড্রেজিং ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত করা সম্ভব। এটি বাস্তবায়নে স্বাধীন বাংলাদেশে যেমন নদী গর্ভ হতে দশ লক্ষ (১০,০০০০০) কিলেমিটার এলাকা স্থায়ীভাবে ফসলি জমি ও বসবাসের ব্যবহার ভূমিতে পরিনিত হবে। সেই সঙ্গে প্রায় বিশ লক্ষ (২০,০০০০০) লোকজনের স্থায়ী নিরাপদ আবাস তৈরী হবে। উক্ত বিষয়ে উদ্দ্যোক্তার প্রোফইল তুলে ধরা হল। তাঁর সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, আমার এই পরিকল্পনার প্রকল্পটি স্থানীয় হতদরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে আমি আমার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কালিন সহযোদ্ধা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের নামে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা গণের পক্ষ হতে উৎসর্গ করে দিব। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7127407689144116325

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item