পানির অভাবে ধানখেত ফেটে চৌচির, দিশেহারা কৃষক

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধি:ঃ ঠাকুরগাঁও উপজেলা গুলোতে পানির অভাবে ধানখেত ফেটে চৌচির, দিশেহারা কৃষক
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিহীনতা ঠাকুরগাঁও  কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। মাঠের পর মাঠ ধানখেতগুলো পানির অভাবে ফেটে চৌচির। স্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে দিতে কৃষকরা হয়রান। অথচ এই সময়ে ধান ক্ষেতে হাঁটু পানি থাকতো। ভাদ্র মাসে আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে আমন ক্ষেত বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।

ঠাকুরগাঁও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে  উপজেলার মাষ্টার পাড়া গ্রামের কৃষক হামিদুল রহমান জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। কিন্তু এ বছর ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। পানির অভাবে মাঠের ধান গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকে অধিক পয়সা ব্যয় করে সেচ দিচ্ছেন।

কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ঠাকুরগাঁও  জেলায় ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চাষ হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ১২৫ হেক্টর জমি। যার মধ্যে বেশিরভাগ জমিতে চাষ হয়েছে স্বর্ণা জাত। এছাড়াও রয়েছে ব্রি-৪৯ জাত। কৃষি বিভাগের হিসাবে চাষকৃত জমি থেকে ৩ লাখ ৫৮৮ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যা ধানে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন। হিসাব অনুযায়ী প্রতি একরে ধান উৎপাদন হবার কথা ৪৫ মন।

অবশ্য কৃষকরা বলছেন, এবার ধানগাছ যেভাবে বেড়ে উঠছিল তাতে উৎপাদন আরো বেশি হতো। তাদের হিসাবে একরে ৫০ থেকে ৫৫ মন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে ধান গাছ ঝিমিয়ে পড়ছে, এতে উৎপাদন কমে যাবার আশংকা রয়েছে।

সদর উপজেলার শিবগঞ্জ  গ্রামের কৃষক রবি চন্দ্র  জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে স্বর্ণা জাতের ধানের চাষ করেছেন। জমি তৈরি, ধানগাছ রোপন, আগাছা পরিষ্কার, একদফা সার-কীটনাশক দিয়েছেন। ধান গাছগুলোও তরতর করে বেড়ে উঠছিল।
আশা ছিল এক বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মন ধান পাবেন। কিন্তু পানির অভাবে হঠাৎ গাছগুলোর বৃদ্ধি থমকে গেছে। জমির মাটি ফেটে যাচ্ছে। এই সময় ধানের গোড়ায় বৃষ্টির পানি থাকে। কিন্তু এবার স্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিতে হচ্ছে। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ঠাকুরগাঁও  মাঠে এবার ধান ক্ষেত দেখে কৃষকের পাশাপাশি তারাও খুব খুশি ছিলেন। আশা করেছিলেন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাবেন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কিছুটা নষ্ট হবার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এবার জুন মাসে ৯৬ মিলিমিটার, জুলাই মাসে ১৭১ মিলিমিটার ও আগষ্ট মাসে ১৯৬ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি রোপা আমন চাষের জন্য খুবই সামান্য।
কৃষি বিভাড়ের সুত্রে জানা যায  
 ধান গাছে যখন মোচা (থোড়) হতে থাকে তখন পানি কম হলে ফলন কমে যাবে। তিনি বলেন, এ বছর বৃষ্টির পানির খুবই সমস্যা হচ্ছে। তবে এখনও তারা আশাবাদী। তার মতে, ২/৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, উঁচু জমিতে যারা ধান চাষ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 2981334924205986725

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item